Sharad Pawar on Adani: আদানি, শরদ পাওয়ারকে নিয়ে বিস্ফোরক কংগ্রেস নেত্রী! NCP নেতার ঢাল হলেন ফড়ণবীস

সম্প্রতি আদানি ইস্যুতে বিজেপির সুরেই কথা বলতে শোনা গিয়েছিল শরদ পাওয়ারকে। এরপরই এনসিপি সুপ্রিমোকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান কংগ্রেস নেত্রী অল্কা লম্বা। তিনি শরদ পাওয়ারকে ‘লোভী’ আখ্যা দেন। সঙ্গে আদানি ও শরদের একটি পুরোনো ছবি পোস্ট করেন টুইটারে। টুইট বার্তায় কংগ্রেস নেত্রী লেখেন, ‘ভীতু-লোভীরা আজ ব্যক্তিগত স্বার্থে স্বৈরাচারী ক্ষমতাবানদের জয়গান গাইছে। দেশের মানুষের লড়াই একা রাহুল গান্ধী লড়ছেন। যেমন তিনি পুঁজিবাদী চোরদের সঙ্গে লড়াই করছেন, তেমনই চোরদের রক্ষাকারী প্রহরীর সাথেও লড়ছেন।’ (আরও পড়ুন: সিম কার্ডের KYC ভেরিফিকেশন নিয়ম বদলে যাবে পুরোপুরি, বিশদ জানুন এখনই)

অল্কার এহেন মন্তব্যের পরই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে ‘প্রলয়’ চলে আসে। বিগত ৩৫ বছর ধরে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী এনসিপি। দেশের বর্ষীয়ান রাজনীতিকদের মধ্যে অন্যতম শরদ পাওয়ার। এহেন নেতার বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেত্রীর বিস্ফোরক টুইটের বিরোধিতায় ময়দানে নামেন বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। তিনি অল্কার টুইটের প্রেক্ষিতে পালটা টুইট করে লেখেন, ‘রাজনীতি আসবে এবং যাবে তবে একজন কংগ্রেস নেতার এই টুইটটি ভয়ঙ্কর। দীর্ঘ ৩৫ বছরের জোটসঙ্গী এবং ভারতের অন্যতম প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা তথা মহারাষ্ট্রের চার বারের মুখ্যমন্ত্রীকে এহেন মন্তব্য ভয়ঙ্কর। রাহুল গান্ধী ভারতের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিকৃত করছেন।’

আরও পড়ুন: স্বল্প বিনিয়োগে ২১ বছর বয়সে হওয়া যায় ৬৩ লাখের মালিক! দেখুন সরকারি স্কিমের হিসেব

এদিকে অল্কার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালাও মুখ খোলেন। বিজেপি মুখপাত্র প্রশ্ন করেন, কংগ্রেস কি অল্কার মতামতের সঙ্হে সহমত পোষণ করে? এর প্রেক্ষিতে অল্কা টুইট করে দাবি করেন, তিনি কংগ্রেস নেতা হলেও শরদ পাওয়ারকে নিয়ে তাঁর এই মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। এটা কংগ্রেসের মত নয়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আদানি বিষয়ে শরদ পাওয়ার বলেন, ‘আমি মনে করি হিন্ডেলবার্গ রিপোর্টে আদানিদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওদের টার্গেট করা হয়েছে। আমার মনে হয় না জেপিসির কোনও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পরে তো নয়ই। কংগ্রেস কী কারণে জেপিসি চাইছে, আমার কাছে তা স্পষ্ট নয়। শুধু এটুকু জানি, জেপিসি হলে কোনও দিনই সত্যিটা জানা যাবে না, শুধু মাসের পর মাস সময় চলে যাবে। হয়তো কংগ্রেস বিষয়টাকে জিইয়ে রাখতে চায়। আর আমি মনে করি আদানি প্রসঙ্গকে প্রয়োজনের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। হিন্ডেলবার্গের নাম ক’জন জানত? তাদের রিপোর্টে হইচই পড়ে গেল, অথচ তা যে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে আঘাত করল, আমাদের দেশের ক্ষতি হল, সেই বিষয়ে কেউ ভাবছে না।’

রাহুল গান্ধী যেখানে আদিন নিয়ে সরব, সেখানে শরদ পাওয়ারের এহেন মন্তব্যে বিরোধী রাজনৈতির সমীকরণে বড় বদল আসবে বলে মত বিশ্লেষকদের। এরই মধ্যে শরদ পাওয়ারকে কংগ্রেস নেত্রীর আক্রমণ এবং শরদ পাওয়ারকে ঢাল করতে ফড়ণবীসের এগিয়ে আসাও তাৎপর্যপূর্ণ।