Sharad Pawar on Gautam Adani: ‘আদানি কঠোর পরিশ্রমী, মাটিতে পা আছে তাঁর’, নিজের আত্মজীবনীতে লিখেছেন শরদ পাওয়ার

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে আদানিকে নিয়ে শরদ পাওয়ারের মন্তব্যে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। এরই মধ্যে এবার প্রকাশ্যে এল শরদ পাওয়ারের আত্মজীবনীর একটি অংশ। ২০১৫ সালে প্রকাশিত সেই বইতে আদানিকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন এনসিপি প্রধান। জানা যায়, আদানির সঙ্গে শরদ পাওয়ারের বন্ধুত্ব দুই দশক পুরোনো। আদানি যখন কয়লা খাতে বিনিয়োগের চিন্তা ভাবনা করছিলেন, তখন থেকেই শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে গৌতম আদানির। ২০১৫ সালে মারাঠি ভাষায় লেখা আত্মজীবনী ‘লোক মাজে সঙ্গতি’-তে শরদ পাওয়ার আদানিকে নিয়ে লিখেছিলেন, ‘আদানির পা মাটিতে থাকে। তিনি খুব সাধারণ ভাবে থাকেন। তিমি খুব পরিশ্রমী। পরিকাঠামো খাতে উন্নতি করার উচ্চাকাঙ্খা রয়েছে তাঁর মনে।’ (আরও পড়ুন: ‘মার যাবে’ বিপুর অঙ্কের ঋণ? আদানি নিয়ে বড় আপডেট দিল SBI)

বইতে এনসিপি প্রধান লেখেন, ‘হীরের ব্যবসাতে বেশ ভালো লাভ হচ্ছিল গৌত আদানির। তবে তাতে তাঁর উৎসাহ ছিল না। তাঁর চিরকালই ইচ্ছে ছিল পরিকাঠামো খাতে পা রাখার। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তিমনভাই প্যাটেলের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক রয়েছে। মুন্দ্রা বন্দরের উন্নতির জন্য প্রস্তাব জমা দিয়েছেন গৌতম আদানি। আমার মনে আছে, মুখ্যমন্ত্রী আদানিকে এই বন্দর সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে এই বন্দর এলাকা রুক্ষ। পাশাপাশি এটা পাকিস্তানের কাছে। তবে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন গৌতম আদানি।’ বইতে পাওয়ার লেখেন, ‘আমার কথা শুনে প্রফুল প্যাটেলের বাবার মৃত্যু বার্ষিকী পালন করেছিলেন গৌতম আদানি। এর জন্য মহারাষ্ট্রের গোন্দিয়াতে তিনি ৩০০০ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরির ঘোষণা করেছিলেন।’

আরও পড়ুন: শীঘ্রই চালু হবে ‘মিনি বন্দে ভারত’, তারপর কোন কোন রুটে ছুটবে ‘লম্বা বন্দে ভারত’?

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আদানি বিষয়ে শরদ পাওয়ার বিরোধীদের থেকে ভিন্ন মত প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি মনে করি হিন্ডেলবার্গ রিপোর্টে আদানিদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওদের টার্গেট করা হয়েছে। আমার মনে হয় না জেপিসির কোনও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পরে তো নয়ই। কংগ্রেস কী কারণে জেপিসি চাইছে, আমার কাছে তা স্পষ্ট নয়। শুধু এটুকু জানি, জেপিসি হলে কোনও দিনই সত্যিটা জানা যাবে না, শুধু মাসের পর মাস সময় চলে যাবে। হয়তো কংগ্রেস বিষয়টাকে জিইয়ে রাখতে চায়। আর আমি মনে করি আদানি প্রসঙ্গকে প্রয়োজনের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। হিন্ডেলবার্গের নাম ক’জন জানত? তাদের রিপোর্টে হইচই পড়ে গেল, অথচ তা যে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে আঘাত করল, আমাদের দেশের ক্ষতি হল, সেই বিষয়ে কেউ ভাবছে না।’ তাঁর এই মন্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এরই মধ্যে সামনে এল শরদ পাওয়ারের সঙ্গে আদানির সম্পর্কর বিষয়টি।