সাবেক মন্ত্রীপুত্রসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ 

অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ-স্থানান্তর ও নতুন সংযোগ দেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে  অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুননেসা এ আদেশ দেন। আদালতে দায়িত্বরত দুদকের জিআরও আবদুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুদকের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের উপর রবিবার আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে আদেশ দেন। সোমবার আদালতে গিয়ে জানতে পারলাম দুদকের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেননি আদালত। মামলার এজাহারে থাকা পাঁচ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন।’

পাঁচজন হলেন- সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমান, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ার ও সার্ভিসেস) সারওয়ার হোসেন, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত দক্ষিণ জোনের টেকনিশিয়ান (সার্ভেয়ার) দিদারুল আলম, ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমান, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও গ্রাহক মুজিবুর রহমান।

এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার তদন্তে কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে গত ৩০ মার্চ মন্ত্রীর ছেলেসহ পাঁচজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. আতিকুল হক।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দুদক উল্লেখ করে, ‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায়, এম এ সালামের স্ত্রীর কোনও অভিযোগ না থাকায়, সরকার কোনও আর্থিক ক্ষতি না হওয়ায় এবং ঘুষ লেনদেনের কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।’

দুদক সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১০ জুন দুদকের চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ, স্থানান্তর ও নতুন সংযোগ দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকার বাসিন্দা এম এ সালামের (বর্তমানে মৃত) নামে বরাদ্দ করা ১৮টি অব্যবহৃত দ্বৈত চুলার সংযোগ ছিল। এরমধ্যে ১২টি নগরের চান্দগাঁও থানার সানোয়ারা আবাসিক এলাকার গ্রাহক মুজিবুর রহমানের নামে স্থানান্তর করা হয়। এ কাজে সালামের স্ত্রীর নামে ভুয়া চুক্তিনামা করা হয়। সালাম ও মুজিবুরের গ্রাহক সংকেত পৃথক হওয়ায় সংযোগ স্থানান্তরে আইনগত কোনও বৈধতা নেই। এছাড়া ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকলেও সে সিদ্ধান্ত অমান্য করে মুজিবুরের নামে আরও ১০টি নতুন সংযোগ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ২ মার্চ থেকে ২০১৮ সালের ২ আগস্ট পর্যন্ত এসব সংযোগ দেওয়া হয়। মামলা করার পরদিন অবৈধভাবে দেওয়া ২২টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কেজিডিসিএল।