Dilip Ghosh: ‘‌একদিন এই তৃণমূল পার্টির সিম্বলই চলে যাবে’‌, বড় হুঁশিয়ারি দিলেন দিলীপ ঘোষ

তৃণমূল কংগ্রেসের ‘‌সর্বভারতীয়’‌ তকমা কেড়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর তাতে বেজায় খুশি বিজেপি। বঙ্গ–বিজেপি নেতারা টুইটের ঝড় তুলেছেন। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুকান্ত মজুমদার সকলেই আছেন। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে খুব অস্বস্তির বিষয়ও বটে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। সেখানে এমন ঘটনা নিঃসন্দেহে চাপের। এই পরিস্থিতিতে এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসের ‘‌সিম্বল’‌ চলে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?‌ আজ, মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণে এসে ইকোপার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় তকমা চলে গেল বলে তাঁর কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। তখন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যে ধরনের দুর্নীতি হিংসা, মারামারি, সাম্প্রদায়িক হিংসা হচ্ছে তার ফলে সারা ভারত তৃণমূল কংগ্রেসের আসল রূপটা জেনে গিয়েছে। কোথাও কেউ আর ভোট দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেসকে। প্রচুর টাকা খরচা করেছেন, গোয়া এবং ত্রিপুরায়। আর কোথাও ভোট পায়নি। তাই তাদের ভোটের পার্সেন্টেজ কমে গিয়েছে।’‌

আর কী বলেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতা?‌ দিলীপ ঘোষ এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে খোঁচাও দিয়েছেন। তাঁর কটাক্ষ, ‘‌সর্বভারতীয় তকমা চলে গেল তার থেকেও বড় কথা পশ্চিমবঙ্গে তারা এখন অস্তিত্বের জন্য লড়াই করছে। সর্বভারতীয় পার্টি হবার স্বপ্ন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন, দিল্লি জেতার স্বপ্ন, আপাতত মুলতুবি রাখতে হবে।’‌ কিন্তু আম আদমি পার্টি সর্বভারতীয় তকমা পেল। এই ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘‌রাজনীতিতে পরিবর্তন হতেই পারে। কোনও বিশেষ কারণে যদি কোনও পার্টি তৈরি হয় তাহলে অবস্থা এরকমই হবে। যার কোন নীতি–আদর্শ নেই, উন্নয়ন নেই। ভারতবর্ষের রাজনীতি পাল্টাচ্ছে। আগের মতো করে কেউ জাতপাত নিয়ে রাজনীতি করে টিকে থাকতে পারবে না।’‌

কেমন হুঁশিয়ারি দিলেন দিলীপ?‌ এই ঘটনায় আইনি পথে যেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। এটা শুনেই মেদিনীপুরের সাংসদের হুঁশিয়ারি, ‘‌আইনি পথে সবাই যেতে পারেন। আমি তো বলি নির্বাচন কমিশনের সামনে ধরনা শুরু করে দিন। ইট পাথর মারুন। যেটা তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার। আদালতে গিয়ে কি হবে? নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তেই আদালত সম্মতি জানাবে। এখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তাই হয়েছে। সংবিধান নিয়মকানুন এরা কিছুই মানেন না। এই পার্টিটাকেই সম্পূর্ণভাবে ব্যান করা উচিত প্রাদেশিক বা সর্বভারতীয় নয়। পশ্চিমবঙ্গে একটা নির্বাচন তো শান্তিপূর্ণ হোক। না হলে একদিন না একদিন এই তৃণমূল পার্টির সিম্বলই চলে যাবে।’‌ আর এনজিপি স্টেশনে গুলি কাণ্ড নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‌গুলি তো সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে। হাইওয়ের উপরে চলছে রাজু ঝা মারা গেল। এনজিপি স্টেশন তো একটা দুর্বৃত্তদের আড্ডা–সহ কোটি টাকার এদিক ওদিক হয়। তৃণমূলের রক্ষণাবেক্ষণেই এই ধরনের দুর্বৃত্তরা এনজিপি স্টেশনে কাজ করে।’‌