Kultoli Incident: তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে মারধর করার অভিযোগ সিপিএমের বিরুদ্ধে, কুলতলিতে তাণ্ডব

কুলতলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতিকে মারধর করার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে কুলতলি থানার কীর্তনখোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। আজ, মঙ্গলবার এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়। তবে এই হামলার জেরে আহত হন কুন্দখালি–গোদাবর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার অঞ্চল সভাপতি মনোয়ার মণ্ডল। তিনি এখন কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার উপরে পরিকল্পনা করে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

ঠিক কী ঘটেছে কুলতলিতে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে মারধরের এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার সন্ধ্যায় কীর্তনখোলা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি মনোয়ার মণ্ডল এসেছিলেন। তিনি আসতেই তাঁর উপর হামলা করা হয়। তবে তাঁর চিৎকার শুনেই আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাও। তখনই তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম দু’‌পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি বেঁধে যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা সংখ্যায় বেশি থাকায় চম্পট দেয় সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ এই হামলায় আহত হন অঞ্চল সভাপতি। তাঁকে রাতেই প্রথমে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কুলতলির জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার পর কুলতলি থানায় ৯ জনের নামে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি মনোয়ার মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ পেয়েই সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুলতলি থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলেই খবর।

ঠিক কে, কি বলছেন?‌ এই হামলার ঘটনার পিছনে রাজনীতি আছে বলে মনে করেন অঞ্চল সভাপতি। তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি মনোয়ার মণ্ডল বলেন, ‘‌রাজনৈতিক উদ্দেশেই এই হামলা করা হয়েছে। এলাকায় সিপিএমের কর্মী বা সমর্থক নেই। রাজনৈতিকভাবে না পেরে উঠে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।’‌ পাল্টা সিপিএমের কুলতলি এরিয়া কমিটির সম্পাদক উদয় মণ্ডল বলেন, ‘‌পারিবারিক অশান্তিকে কেন্দ্র করে দু’‌পক্ষের বচসা, অশান্তি। সেটাকে সিপিএমের ঘাড়ে ঠেলার চেষ্টা করছে। এসব করে আসলে সিপিএম কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।’‌

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup