সীমান্তের ওপার থেকে বেআইনী অস্ত্র, নাম না করে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তুলোধোনা

নাম না করে পাকিস্তানকে একেবারে তুলোধোনা করলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের তরফে স্থায়ী দূত রুচিরা কম্বোজ। তিনি জানিয়েছেন, ড্রোনে করে বেআইনী অস্ত্র সীমান্ত পেরিয়ে আসছে। এটা নিঃসন্দেহে একটা সিরিয়াস চ্যালেঞ্জ। ইউএন সিকিউরিটি কাউন্সিলের খোলা বিতর্কে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। “Threats to International Peace and Security Risks Stemming from Violations of Agreements Regulating the Exports of Weapons and Military Equipments” এই বিষয়ের উপর বিতর্কসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সোমবার এই বিতর্কসভার আয়োজন করা হয়েছিল। তিনি সাফ জানিয়েছেন, কিছু রাষ্ট্র দ্বিমুখী একটা মনোভাব নিয়ে চলছে। তাদের এই ভুল কাজের দায় তাদের নিতে হবে।

তিনি জানিয়েছেন, অস্ত্র ও সামরিক সামগ্রী আন্তর্জাতিক আইনকে লঙ্ঘন করে আমদানি হচ্ছে, এটা ভূ রাজনৈতিক শান্তিকে নষ্ট করছে। এটাকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না।

কম্বোজ জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা তখনই বাড়তে থাকে যখন কিছু রাষ্ট্র দ্বিমুখী আচরণ করছে, মুখোশ পরে এই ধরনের নেটওয়ার্ক তৈরি করছে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে নানাভাবে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ তুলেছেন।

এনিয়ে তিনি নির্দিষ্ট নজিরও হাজির করেছেন। উদাহরণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, যে ধরনের অস্ত্র সম্ভার জঙ্গিদের হাতে দেখা যাচ্ছে, ছোট অস্ত্রের যে কোয়ালিটি দেখা যাচ্ছে তাতে এটা বোঝা যাচ্ছে সেটা কোনও রাষ্ট্রের মদত ছাড়া আসা সম্ভব নয়।

সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আমরা একটা সিরিয়াস চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। ড্রোন ব্যবহার করে বেআইনী অস্ত্র আমদানি করা হচ্ছে। এটা সেই এলাকা যাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাদের প্রত্যক্ষ মদত ছাড়়া আনা সম্ভব নয়। এদিকে ভারত যে এই ধরনের বেআইনী অস্ত্র আমদানি রুখতে বদ্ধ পরিকর সেটাও তিনি জানিয়ে দেন।

এদিকে এর আগে ভারতের সুরক্ষা বাহিনী বার বারই পাকিস্তানি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়ে দিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে অস্ত্র ও মাদক পাচার করা হচ্ছে। সম্প্রতি বিএসএফ জানিয়েছিল জম্মুতে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাকিস্তানি ড্রোনকে নিশানা করে গুলি করেছিল বিএসএফ। মার্চের পর থেকে এনিয়ে দ্বিতীয়বার এই ধরনের ড্রোনকে ধরে ফেলল ভারত।

এই বিতর্ক সভায় কম্বোজ পরিষ্কার জানিয়েছেন, এই ধরনের ব্যবহারকে গোটা বিশ্বের তীব্র নিন্দা করা দরকার। এই ধরনের অনৈতিক কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের চিহ্নিত করা দরকার।