আঁচল ধরে মায়েদের কাছে ভিক্ষে, কেন্দ্রের বকেয়া নিয়ে নয়া পথে মমতা, ‘চাকরি খাব না’

কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে একের পর এক অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। তবে এবার সেই বঞ্চনাকে একেবারে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেলেন খোদ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি বলেন, অনেক টাকা আটকে রাখা হয়েছে। শুনেছি ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেবেও না। কিন্তু ভিক্ষে চাইতে যাব না। কারও চাকরি খাবও না। এর সঙ্গেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হন তিনি।

টাকা আটকে রাখলেও যে দমিয়ে রাখা যাবে না একথাও জানিয়ে দেন তিনি। অনেক টাকা আটকে রাখা হয়েছে। আমরা ভাঙব না। মমতা বলেন, না দিক। দরকার হলে শাড়ির আঁচল ধরে মায়েদের কাছে ভিক্ষা চাইব। কিন্তু দিল্লির কাছে ভিক্ষা চাইতে যাব না। যেমন করে হোক চালিয়ে নেব।

বিরোধীদের দাবি, মিড ডে মিল থেকে একশ দিনের কাজ। সর্বত্র কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। আর এখন মুখ্যমন্ত্রী ফের সেই একই সেন্টিমেন্টের কথা বলে গোটা বিষয়টি ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন।

তবে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য় এখানেই থামেননি। তিনি বলেন, আমরা ভাঙব না।আমরা কারও চাকরি খাব না। যতদিন বাঁচব মানবিকতা, মনুষ্যত্ব নিয়ে বাঁচব। আলিপুরে ধনধান্য স্টেডিয়ামের উদ্বোধনে এসেও এভাবেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গেই কারোর চাকরি খাব না বলেও ফের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে এখানেই প্রশ্ন উঠছে অনেকেই ঘুরপথে চুরি করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। আদালতের নির্দেশে তাদের চাকরি যাচ্ছে। তবে কি মমতা সেই চাকরিহারাদের পাশে থাকার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিলেন? এনিয়েও বিরোধীরা নানা খোঁচা দিচ্ছেন।

সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা প্রসঙ্গে মমতা জানিয়েছেন, দরকার হলে শাড়ির আঁচল ধরে মায়েদের কাছে ভিক্ষা চাইব। কিন্তু দিল্লির কাছে ভিক্ষা চাইতে যাব না। যেমন করে হোক চালিয়ে নেব।

কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্র -রাজ্য সংঘাতের জেরে বাস্তবে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে তারা কি আদৌ শাস্তি পাচ্ছেন? নাকি তাদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে?

এদিকে মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে ভয়াবহ অনিয়মের অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় টিম। সেই অনিয়ম অবশ্য অস্বীকার করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু মায়েদের কাছে শাড়ির আঁচল নিয়ে ভিক্ষা করে আদৌ রাজ্যের উন্নতি কত হবে সেই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup