Arvind Kejriwal quizzed by CBI: আবগারি দুর্নীতি নিয়ে ৯ ঘণ্টা জেরা কেজরিওয়ালকে, ‘বয়ান খতিয়ে দেখা হবে’, বলল CBI

আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে রবিবার টানা ৯ ঘণ্টা জেরা করা হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। কেজরিওয়ালকে সিআরপিসির ১৬০ নং ধারা অনুযায়ী সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয়েছিল কেজরিওয়ালকে। জেরা শেষে সিবিআই অফিস থেকে বেরিয়ে এসে অবশ্য আম আদমি পার্টি প্রধান দাবি করেন, এই গোটা মামলাটি ভুয়ো। অপরদিকে সিবিআই-এর তরফে এই মামলা সম্পর্কে একটি বিবৃতি জারি করে দাবি করা হয়েছে যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বয়ান খতিয়ে দেখা হবে। জানা গিয়েছে, সিআরপিসির ১৬১ নং ধারা অনুযায়ী কেজরিওয়ালের বয়ান রেকর্ড করা হয় গতকাল। মোট ৫৬টি প্রশ্ন তাঁকে করা হয় বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: পার্থ-মানিকের পর জীবনকৃষ্ণ, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক তৃণমূল বিধায়ক)

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৮টা নাগাদ সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানান, তাঁকে ৫৬টি প্রশ্ন করেন সিবিআই কর্তারা। তিনি সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বলেও জানান কেজরি। তিনি বলেন, ‘আমি সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। আমি আগেও বলেছি, আমার লুকোনোর কিছু নেই। এই তথাকথিত আবগারি দুর্নীতির মামলাটা ভুয়ো। নোংরা রাজনীতির কারণে হচ্ছে এসব। আমরা মারা যাব তবে কখনও সততা ত্যাগ করব না।’ এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিবিআই কর্তা সংবাদমাধ্যমকে এই জেরা প্রসঙ্গে বলেন, ‘দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সিআরপিসির ১৬০ নং ধারা অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। তিনি সেই মতো তদন্তে সহযোগিতা করতে এসেছিলেন। সিআরপিসির ১৬১ নং ধারা অনুযায়ী তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।’

এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই দফতরে ঢোকার আগে থেকেই দিল্লির রাজপথে নেমেছিলেন আম আদমি পার্টির কর্মী সমর্থকরা। সিবিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার সময় আটক হন দলের সাংসদ রাঘব চড্ডা। তবে আটক হওয়ার আগে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আম আদমি পার্টি গড়ে উঠেছে। আমরা অনেক সংগ্রাম দেখেছি। এভাবে ইডি, সিবিআই বা পুলিশ দেখিয়ে আমাদের ভয় পাওয়ানো যাবে না। আমরা বিজেপিকে বার্তা দিতে চাই যে সিবিআই, ইডিকে আমরা ভয় পাই না। বিজেপি নিজেরাই কেজরিওয়াল ফোবিয়াতে ভুগছে। কেজরিওয়ালকে ভয় পেয়েছে বলেই বিজেপি এই সব কাজ করছে। আমাদের আটক করা হয়েছে তবে আমাদের এটা বলা হচ্ছে না যে আমরা ভারতীয় দণ্ডবিধির কোন ধারাটা ভেঙেছি।’

উল্লেখ্য, ২০২১-২২ সালে দিল্লির নতুন আবগারি নীতি তৈরির সময় মণীশ সিসোদিয়া দুর্নীতি করেছিলেন বলে অভিযোগ সিবিআই-এর। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে দীর্ঘক্ষণ ‘তল্লাশি’ চালিয়ে মণীশ সিসোদিয়ার অফিস থেকে একটি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। সিবিআই-এর একটি তদন্তকারী দল দিল্লির সচিবালয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার অফিসে গিয়েছিল। তবে সেটিকে ‘অভিযান’ বলে আখ্যা দিতে অস্বীকার করে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে আবগারি দুর্নীতির সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু রেকর্ড হাতে আসে। উল্লেখ্য, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। মুখ্য সচিবের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই এই সুপারিশ করেন ভিকে সাক্সেনা। দিল্লির মুখ্য সচিবের রিপোর্টে আবগারি নীতিতে উপমুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই আবহে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সিসোদিয়ার পাশাপাশি দিল্লির তৎকালীন আবগারি কমিশনার আরভ গোপী কৃষ্ণের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। উল্লেখ্য, আবগারি দপ্তর সিসোদিয়ার অধীনেই ছিল। এই মামলায় দক্ষিণের বেশ কয়েকজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকী জেরা করা হয়েছে তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কবিতাকেও।