Central Govt on Same Sex Marriage to SC: ‘সমলিঙ্গে বিবাহ হল শহুরে অভিজাত এক ধারণা’, সুপ্রিম কোর্টকে বলল কেন্দ্রীয় সরকার

সমলিঙ্গে বিবাহের আইনি স্বীকৃতি চেয়ে দেশের বিভিন্ন আদালতে মামলা রুজু করা হয়েছিল। সেই সব মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। তবে শীর্ষ আদালতকে এই সব মামলা খারিজ করার আবেদন জানাল কেন্দ্র। রবিবার শীর্ষ আদালতকে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, ‘সমলিঙ্গে বিবাহ হল শহুরে অভিজাত এক ধারণা। দেশের সামাজিক মূল্যবোধের থেকে অনেক দূরে এর অবস্থান।’ সরকারের তরফে আরও বলা হয়, ‘এই আবেদনগুলির সুদূর প্রসারিত প্রভাব পড়তে পারে সমাজে। সামগ্রিক ভাবে দেশের সব নাগরিকের মনোভাবের সঙ্গে এই মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার থেকে সমলিঙ্গে বিবাহ সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি শুরু হবে শীর্ষ আদালতে। (আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহে নাজেহাল বাংলা স্বস্তি পাবে কবে? এই সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে নাকি)

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এক ঐতিহাসিক রায়দানের মাধ্যমে সমকামী সম্পর্ককে অপরাধমুক্ত বলে ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ব্রিটিশ জমানার বহু পুরোনো আইনকে প্রত্যাহার করে পাঁচ সদস্যের বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছিল, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার আওতায় দু’জনের পূর্ণ সম্মতিতে সমকামী সম্পর্ক অপরাধ নয়। সেই পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ছিলেন দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। তবে সমকামী সম্পর্ক বৈধ হলেও সমকামী বিয়ে এখনও আইনি বৈধতা পায়নি ভারতে। এই আবহে সমকামী বিবাহের আইনি স্বকৃতি চেয়ে লড়াই জারি রয়েছে। এই আবহে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ সংক্রান্ত মামলার শুননিতে সম্মত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘ডিএ ইস্যুতে হাই কোর্টের কথা শুনছে না সরকার’, বিস্ফোরক দাবি আন্দোলনকারীদের

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ এর আগেই নির্দেশনা জারি করেছিল যাতে বিভিন্ন হাই কোর্টে থাকা সমকামী বিবাহ সংক্রান্ত যাবতীয় পিটিশন মুলতুবি করা হয়। এই বিষয়ে জড়িত সকল মামলাকে সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তর করতে বলা হয়েছিল। এই সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি শুরু হবে আগামিকাল থেকে। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। উল্লেখ্য, বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে একাধিক পিটিশন দাখিল হয়েছে দিল্লি, গুজরাট এবং কেরলের উচ্চ আদালতে। সেই সব মামলাই স্থানান্তরিত করা হয়েছে শীর্ষ আদালতে।