যন্ত্র নয়, পুকুর থেকে জীবনকৃষ্ণর দ্বিতীয় মোবাইল উদ্ধার করলেন একজন শ্রমিক

অবশেষে খোঁজ পাওয়া গেল নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দ্বিতীয় মোবাইল ফোনটির। প্রায় ৬৬ ঘণ্টা তল্লাশির পর সোমবার বেলা ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ ফোনটি খুঁজে বার করেন স্থানীয় এক শ্রমিক। এর পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সেখানে উপস্থিত প্রায় সবাই।

সোমবার সকাল থেকে ফের মোবাইল ফোনের খোঁজে পুকুরে শুরু হয় তল্লাশি। তবে মেশিন দিয়ে নয়, স্থানীয় শ্রমিকদের নামিয়ে তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। তবে এদিন তল্লাশির সময় নিরাপত্তা ছিল দেখার মতো। পুকুরের ধারে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি সাধারণ মানুষকে।

তল্লাশি চলাকালীন সোমবার বেলা ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ পাঁকের মধ্যে মোবাইল ফোনটি পান এক শ্রমিক। মোবাইল উদ্ধার হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সেখানে উপস্থিত অন্যান্য শ্রমিকরা। এর পর তিনি সিবিআই আধিকারিকদের হাতে ফোনটি তুলে দেন তিনি।

শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চলাকালীন, আধিকারিকদের হাত থেকে ২টি ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পাঁচিলের ওপর থেকে বাড়ির পিছনের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। সেই থেকে শুরু হয় তল্লাশি। রবিবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিট নাগাদ একটি ফোন খুঁজে পান স্থানীয় শ্রমিকরা। সোমবার দ্বিতীয় ফোনটির খোঁজ পেলেন আরেক শ্রমিক। এর মধ্যে সোমবার ভোরে জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে কলকাতা নিয়ে গিয়েছে সিবিআই। তাঁর বাড়ি থেকে নিয়োগ দুর্নীতির প্রায় ৩,৫০০ নথি উদ্ধার হয়েছে।

যে শ্রমিক জীবনকৃষ্ণর দ্বিতীয় ফোনটি উদ্ধার করেন, তিনি স্থানীয় খরজুনা গ্রামের বাসিন্দা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ফোন যে পাব তা ভাবিনি। দায়িত্ব পালন করতে পেরে ভালো লাগছে। কারও কাছে কোনও প্রত্যাশা নেই। সিবিআই আধিকারিকরা যা ভালো বুঝবেন করবেন।