সাগরদিঘির ঢেউ আছড়ে পড়ল মালদায়, তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে শ’য়ে শ’য়ে

আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হতে গেলে হতে হবে কোটিপতি। গরিবদের কোনো স্থান নেই তৃণমূলে। এই অভিযোগ করে দল ছাড়লেন মালদার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা হামেদুর রহমান। সোমবার সন্ধ্যায় চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের মতিহারপুর অঞ্চলের দরিয়াপুরে ছিল কংগ্রেসের ইফতার পার্টিতে কংগ্রেসে যোগাদন করেন তিনি। সঙ্গে দলবদল করেন কয়েকশ কর্মী।

সোমবার জেলা কংগ্রেস আয়োজিত ওই ইফতার পার্টিতে হাজির ছিলেন মালতীপুরের কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক আলবেরুনি জুলকারাইন, হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলম ও সুজাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা কোতয়ালির সদস্য ঈশা খান চৌধুরী সহ বেশ কয়েকজন প্রাক্তন বিধায়ক। এদিনের ইফতারে প্রায়ে সাড়ে তিন হাজার মানুষ সামিল হয়েছিলেন বলে দাবি কংগ্রেসের।পাশাপাশি যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় সেখানেই।তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন ওই অঞ্চলের ইমামপুর বুথের গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের তৃণমূলের প্রার্থী হামেদুর রহমান সহ শতাধিক তৃণমূল কর্মী। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ব্লক,জেলা ও রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব।

কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে হামেদুর রহমান বলেন, ‘তৃণমূলে গরিবদের কোনও স্থান নেই। তারা প্রার্থী হওয়ারও যোগ্যতা রাখে না। প্রার্থী হতে গেলে হতে হবে বিত্তশালী। আমি একজন গরিব মানুষ, ছোটো কাপড়ের দোকান রয়েছে। গত পাঁচ বছর ধরে বুথের মধ্যে ঘাসফুল লাগিয়ে সযত্নে কর্মী সংখ্যা বাড়িয়েছিলাম। দলে কোনো গুরুত্ব পায়নি। আজ সেই দলের প্রার্থীর হওয়ার জন্য চলছে মোটার অঙ্কের দর কষাকষি। এই অঙ্কের দৌড়ে আমি ঠাঁই পাবনা,আশঙ্কায় দল ছাড়লাম’।

চাঁচল-১ নং ব্লক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি আনজারুল হক কটাক্ষ করে বলেন, ‘শাসকদল তৃণমূলের প্রার্থী হতে হলে টাকার দিতে হবে। পুরাতন কর্মীদের কোণঠাসা করছে। দুর্নীতিতে জর্জরিত তৃণমূল। তাই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করছে অনেকে’।

মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক মেহবুব আলম সরকার বলেন, রাজ্য নেতৃত্ব যোগ্য ব্যক্তিকে প্রার্থী করবে। আইপ্যাক ইতিমধ্যে এলাকায় সার্ভে করছেন, কাকে প্রার্থী করলে জয়লাভ হবে। হামেদুল বাবুকে একবার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি জয়ী হতে পারেননি। আবার তাকে দল কি আশায় টিকিট দিবে’?