Satya pal Malik:পুলওয়ামা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন, বিমা মামলায় সত্যপাল মালিককে ডাকল CBI

জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে সমন পাঠিয়েছে সিবিআই। আগামী ২৮ এপ্রিল তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। রিলায়েন্স জেনারেল ইনস্যুরেন্স সংক্রান্ত ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগের সাক্ষী হিসাবে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক পুলওয়ামা হামলা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। আর কাকতালীয়ভাবে তারপরই তাঁর ঘরে পৌঁছে গেল সিবিআইয়ের সমন। একটি নিউজ ওয়েবসাইটের সাক্ষাৎকারে সত্যপাল মালিক জানিয়েছিলেন, সুরক্ষাজনিত ফাঁক ফোকরের জেরে পুলওয়ামা অ্যাটাক হয়েছিল। তার জেরেই ৪০ জন সিআরপিএফের মৃত্যু হয়েছিল। তিনি জানিয়েছিলেন সিআরপিএফ এয়ারক্রাফটের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেটা সরকার মানতে চায়নি। আর তার জেরেই সেনাদের সড়কপথে যেতে হয়।

এদিকে সিবিআইয়ের সমন পাওয়ার পরেই সত্যপাল মালিক টুইট করে লেখেন, আমি সত্য়টা বলে কিছু মানুষের পাপের কথাকে ফাঁস করে দেব। আমি কৃষকের সন্তান। আমি কাউকে ভয় পাই না। আমি সত্যের পাশে থাকবই।

এদিকে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সত্যপাল মালিক জানিয়েছেন, কিছু ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এজেন্সির আকবর রোডের গেস্ট হাউজে আমাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য় বলেছে। তারা কিছু ব্যাখ্য়া চাইছে । সেকারণেই তারা আমার উপস্থিতি চাইছে। আমি রাজস্থান যাচ্ছি। সেকারণে ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে আমি সময় দিয়েছি। যখন থাকতে পারব তখনই যাব। কিন্তু ঠিক কোন মামলাতে তাঁকে ডেকে পাঠানো হল?

সূত্রের খবর, ২০১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন তিনি একটি বিমা কোম্পানির চুক্তি বাতিল করে দিয়েছিলেন। আর সেই বিমা কোম্পানির মালিক ছিলেন শিল্পপতি অনিল আম্বানি। সেই এফআইআরে সিবিআই রিলায়েন্স জেনারেল ইনস্যুরেন্সের নাম উল্লেখ করেছিল। সেই সঙ্গেই ট্রিনিটি রি -ইনস্যুরেন্স ব্রোকারদের অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে কাশ্মীরের সরকারি কর্মী ও তার পরিবারের বিমা করানোর কথা ছিল। কিন্তু সেই বিমা সংক্রান্ত উদ্যোগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।

এদিকে সত্যপাল মালিক ওই বিমার স্কিমে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছিলেন। সেটা নিয়েই এবার সিবিআই তদন্তের অবতারণা।

প্রায় ৩.৫ লাখ কর্মীকে এই বিমার আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এটি শুরু হয়েছিল। কিন্তু এক মাসের মধ্যে তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক এটা বাতিল করে দেন। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের কর্মীরাই চান এটা বাতিল করা হোক। কারণ এর মধ্যে দুর্নীতি রয়েছে।