Ajit Pawar: মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি জানাতে পারে NCP, ফের জল্পনা উসকে বিস্ফোরক অজিত পাওয়ার

৪০ বিধায়ক নিয়ে বিজেপির সঙ্গে যোগ দিতে পারেন অজিত পাওয়ার। এই জল্পনার কথা বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে মারাঠা রাজনৈতিক আঙিনায়। তবে এরই মাঝে মহাবিকাশ আঘাড়ির ঐক্য প্রদর্শন করতে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় সভা করছে এনসিপি। এই সবের মাঝে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো বলেন, ২০২৪ সাল (পরবর্তী মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন) পর্যন্ত অপেক্ষা না করে তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য দাবি জানাতে পারে তাঁর দল। এদিকে আচমকা এভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য কেন এনসিপি উঠে পড়ে লেগেছে? এই প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন অজিত পাওয়ার। সেই জবাবে রয়েছে জোটসঙ্গীদের প্রতি অনুযোগ, আছে অভিমান।

অজিত পাওয়ার বলেন, ‘২০০৪ সালে কংগ্রেসের চেয়ে বেশি আসন ছিল এনসিপির। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর পদটি এনসিপির পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমাদের দল উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ পেয়েছিল। এনসিপি শীর্ষস্থানীয় দল। আমরা সাধারণ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা না করে যে কোনও সময়ই মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য দাবি জানাতে প্রস্তুত।’ উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই অজিত পাওয়ারের পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা চরমে। গত সপ্তাহে নিজের সব রাজনৈতিক সভা স্থগিত করে দিয়েছিলেন অজিত পাওয়ার। পাশাপাশি বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে ‘অপ্রত্যাশিত’ কিছু মন্তব্য করেছিলেন অজিত পাওয়ার। যা থেকে মনে হয়েছিল যে বিজেপির প্রতি অজিত পাওয়ারের ‘অবস্থান বদল’ হয়েছে।

অবশ্য এসব নিয়ে জল্পনার মাঝে দু’দিন আগে এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অজিত পাওয়ার। তিনি দাবি করেন, তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যেসব জল্পনা তৈরি হয়েছে তা গোটাটা গুজব। বিধায়কদের সই করানো প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘কেউ বিধায়কদের দিয়ে কিছু সই করায়নি। আমি এনসিপিতেই আছি। দলবদলের জল্পনা ভিত্তিহীন।’ প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির সঙ্গে মিলে তিনদিনের জন্য সরকার গড়েছিলেন অজিত পাওয়ার। সেবার এনসিপি বিধায়কদের দিয়ে সই করানো একটি চিঠি তিনি রাজ্যপালকে জমা দিয়েছিলেন। ভোরবেলা দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সঙ্গে মিলে শপথগ্রহণ করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত দলে ফিরে আসেন এবং উদ্ধব ঠাকরের সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন অজিত পাওয়ার। বর্তমানে তিনি মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এনসিপির পরিষদীয় দলনেতা তথা বিধানসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা।