Kaliaganj Police Atrocity: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার দেহ হেঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ‘বলি’ হলেন ৪ এএসআই

কালিয়াগঞ্জে নিহত নাবালিকার দেহে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। ঘটনার তদন্তে এসে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে বলেছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। চার দিক থেকে চাপের মুখে অবশেষে ওই ঘটনায় যুক্ত ৪ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করল জেলা পুলিশ। সোমবার একথা জানিয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সানা আখতার।

গত শনিবার কালিয়াগঞ্জের নিহত নাবালিকার দেহ সাহেবঘাটা ব্রিজের কাছে রাস্তার ওপর রেখে অবরোধ করেছিলেন স্থানীয়রা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে চলছিল বিক্ষোভ। তখন অবরোধ তুলতে পুলিশ সেখানে পৌঁছলে পরিস্থিতি রণকক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশ ও গ্রামবাসীরা একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। এরই মধ্যে স্টান্ট গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাসের সেল ছুড়তে শুরু করে পুলিশ। তাতে গ্রামবাসীরা দেহ রেখে কিছুটা পিছনে সরে যান। তখন ৬ জন পুলিশকর্মী দেহটিকে রাস্তার ওপর দিয়ে হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে বেশ কিছুটা টেনে নিয়ে আসেন। তার পর পুলিশের অ্যাম্বুলান্সে তোলেন দেহটিকে।

রবিবার এই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এলে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। রাজ্য প্রশাসনের কাছে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করে জাতীয় মহিলা কমিশন। রিপোর্ট চায় তপশিলি কমিশনও। মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে সেই সময়সীমা। তার আগে মুখ বাঁচাতে সোমবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনায় যে ৪ জন পুলিশকর্মী নাবালিকার হাত পা ধরে ছিলেন তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে ঘোষণা করল জেলা পুলিশ। সাসপেন্ড হওয়া পুলিশকর্মীরা সবাই অতিরিক্তি উপ পর্যবেক্ষক পদমর্যাদার বলে জানিয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সানা আখতার।

যদিও পুলিশের এই পদক্ষেপে খুশি নয় বিরোধীরা। তাদের দাবি, একজনের দেহ পুলিশ যে ভাবে মরিয়া হয়ে উদ্ধার করেছে তা নীচু তলার ৪ পুলিশকর্মীর সিদ্ধান্ত হতে পারে না। ওসি বা তার ওপরের পদমর্যাদার আধিকারিকের নির্দেশেই নৃশংসভাবে নাবালিকার দেহ টেনে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। আর নবান্নের নির্দেশেই এই কাজ তাঁরা করেছেন। ওপরতলার আধিকারিকদের বাঁচাতে তাই নীচুতলার পুলিশকর্মীদের বলির পাঁঠা করার চেষ্টা চলছে।