Nitish-Akhilesh Meet: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছে কি আছে? অখিলেশের সঙ্গে দেখা করে জবাব দিলেন নীতীশ

গতকালই পশ্চিমবঙ্গে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং সেই রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। এরপর গতকালই সামজবাদী পার্টির প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলনেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও দেখা করেন নীতীশ-তেজস্বী। বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে বসেন তিন নেতাই। আর সেখানেই নিজের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন নীতীশ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, তিনি শুধুমাত্র দেশের স্বার্থেই কাজ করতে চান। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে বিজেপির বিরুদ্ধে বৃহত্তর বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন নীতীশ। এর আগে দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গেও দেখা করেন নীতীশ ও তেজস্বী। (আরও পড়ুন: অপেক্ষা ২৮ এপ্রিলের, ডিএ নিয়ে বড় খবর পেতে চলেছেন সরকারি কর্মীরা)

সাংবাদিক সম্মেলনে নীতীশ বলেন, ‘ক্ষমতার লালসা আমার নেই। আমার এই প্রচেষ্টা দেশের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে।’ তাহলে বিরোধী জোটের নেতৃত্বে কে থাকবেন? সেই ইস্যুতে নীতীশ বলেন, ‘আমি কোনও দৌড়ে নেই। আমি নিজের জন্য কিছু চাই না। আমি দেশের স্বার্থে কাজ করে যাব। আমাকে ছাড়াও আরও অনেকেই থাকবেন। আমরা বসে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব যে কে এই জোটের নেতৃত্বে থাকবেন।’ এদিকে কেন্দ্র থেকে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে নীতীশকে সমর্থনের কথা জানান অখিলেশ। অখিলেশ বলেন, ‘বিজেপি ভারতের ইতিহাস বদলে দিতে চাইছে। তাদের ইতিহাস জানা উচিত। তারা কোনও কাজ করছে না, শুধুমাত্র প্রচার করে চলেছে। আমরা বিরোধ দলগুলিকে একত্রিত করব এবং জোট বেঁধে আগামী নির্বাচনে লড়াই করব। কৃষক এবং সাধারণ মানুষ বিজেপি ভুল অর্থনৈতিক নীতির কারণে ভুগছে।’

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে হটাতে উঠে পড়ে লেগেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এই আবহে দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এরপরই গতকাল নীতীশ মমতা এবং অখিলেশের সঙ্গে দেখা করলেন। উল্লেখ্য, এই দুই নেতাই বিজেপি বিরোধিতার পাশাপাশি কংগ্রেসকেও পাত্তা দেন না। তবে গতকাল নীতীশের সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও শোনা গিয়েছিল ঐক্যের সুর। তিনি গতকাল বলেছিলেন, ‘আমি চাই বিজেপি শূন্য হয়ে যাক। আমাদের মধ্যে কোনও অহংকার বোধ নেই। আমরা একসঙ্গে কাজ করব এবং এগিয়ে যাব।’