Contaminated cough syrup: আবারও খোঁজ মিলল ভারতে তৈরি সংক্রমিত কাশির সিরাপের, হু-এর তরফে এল কড়া বিবৃতি

ভারতীয় সংস্থার তৈরি সংক্রমিত কাশির সিরাপ এবার পাওয়া গেল মার্শাল আইল্যান্ড ও মাইক্রোনেশিয়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে মঙ্গলবার এমনটাই জানানো হয়। গত বছরেই ভারতীয় সংস্থার তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে বেশ কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনা খবরের শিরোনামে আসে। তারপরেই এই ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও শিশুর শরীর খারাপ বা মৃত্যু হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মঙ্গলবারের বিবৃতিতেও তেমন কিছু জানানো হয়নি। 

আরও পড়ুন: বড় টোপ ফেলেছিল পুলিশ, কিন্তু ‘মাছ’টি বড়ই চতুর, পালানোর কায়দায় অবাক সবাই

আরও পড়ুন: বড় দুর্ঘটনা পাত্রীর! সেরে ওঠা পর্যন্ত ছায়াসঙ্গী পাত্র, বিয়ের আসরে এর পরে কী হল

এই দিন হু-এর তরফে বলা হয়, আমদানি করা একটি কাশির সিরাপ থেকে একটি স্যাম্পল পরীক্ষা করে দেখা যায় সেটি সংক্রমিত। ওষুধটির নাম ছিল গুয়াইফেনিসিন সিরাপ টিজি সিরাপ যার মধ্যে অস্বাভাবিক মাত্রায় ডাইইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল ছিল। এই দুটি উপাদানই মানবদেহের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, এই দুটি মিশ্রিত ওষুধ খেলে রীতিমত বড়সড় ক্ষতিও হতে পারে শিশুদের। অস্ট্রেলিয়ার ওষুধের গুণমান যাচাইকারী সংস্থা থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরীক্ষায় ধরা পড়ে এই সংক্রমণ।

নয়া সতর্কতাকে ধরলে এই নিয়ে মোট তিনবার হু-এর তরফে কাশির সিরাপ নিয়ে এমন বিবৃতি জারি করা হল। এই সিরাপগুলির তৈরির নেপথ্যে রয়েছে ভারতীয় ও ইন্দোনেশীয় সংস্থা। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে এই সিরাপের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩০০ শিশুর। গাম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তানের এই শিশুদের বেশিরভাগেরই বয়স ছিল পাঁচ বছরের নিচে। সাম্প্রতিক বিবৃতিতে যে ওষুধের কথা বলা হয়েছে, সেই ওষুধের নির্মাতা সংস্থা ভারতের পাঞ্জাবের কিউপি ফার্মাকেম লিমিটেড। অন্যদিকে ওই সংস্থার ওষুধ বিপণনের দায়িত্বে ছিল হরিয়ানার ট্রিলিয়াম ফার্মা। একইসঙ্গে ওই বিবৃতিতে এও জানানো হয়, ওষুধগুলির নিরাপত্তা সম্পর্কে এই দুই সংস্থা কিছুই জানায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে।

কিউপি ফার্মার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সুধীর পাঠক রয়টার্সকে বলেন, রপ্তানি করা ব্যাচ থেকে একটি স্যাম্পল পরীক্ষা করার পর তা ঠিকঠাক বলেই মনে হয়েছিল ওষুধ নির্মাতা সংস্থার। এমনকি ভারতেও ওই ওষুধ নানা জায়গায় বিক্রি হয়, কোনও জায়গা থেকেই কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই দিন বলে, সংক্রমিত ওষুধ এড়াতে ওষুধ রপ্তানিকারী দেশগুলিকে আরও কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। স্পষ্টতই এই ব্যাপারে ভারতের প্রশাসনকেই একহাত নিয়েছে হু।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup