Mahua & Priyanka slams PT Usha: ‘হামাগুড়ি দেবেন না’, কুস্তিগীরদের নিয়ে পিটি ঊষার মন্তব্যের পালটা তোপ মহুয়া-প্রিয়াঙ্

কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি। এই আবহে দেশের তাবড় কুস্তিগীররা পথে নেমে আন্দোলনের পথে হেঁটেছেন। আর তাই নিয়ে বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাটদের ‘তোপ’ দেগেছিলেন ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার সভাপতি তথা রাজ্যসভা সাংসদ পিটি ঊষা। তিনি বলেছিলেন, ‘একটু শৃঙ্খলা বোধ থাকা উচিত ছিল। তাঁদের অলিম্পিক সংস্থার কাছে আসা উচিত ছিল।’ পিটি ঊষা আরও অভিযোগ করেন, ‘দেশের সম্মান মাটিতে মেশাচ্ছেন কুস্তিগীররা।’ পিটি ঊষার এহেন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার পিটি ঊষাকে পালটা দিলেন শিবসেনা (উদ্ধবপন্থী) সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এবং মহুয়া মৈত্র। এই নিয়ে টুইট করেন দুই নেত্রী।

টুইট বার্তায় পিটি ঊষাকে উদ্দেশ্য করে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘আমি সরি ম্যাম। তবে আমাদের উচিত, সম্মিলিত ভাবে দেশের মহিলা ক্রীড়াবিদদের পাশে দাঁড়ানো। আমরা এই অভিযোগ করতে পারি না যে তাঁরা দেশের সম্মানহানী ঘটাচ্ছেন। তাঁরাই দেশের জন্য পদক জিতে আমাদের সম্মানিত করেন।’ এর আগে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রও পিটি ঊষাকে তোপ দেগেছিলেন তাঁর মন্তব্যের জন্য। তিনি টুইট বার্তায় লিখেছিলেন, ‘এতবছর ধরে কুস্তি ফেডারেশেনের সভাপতি থাকা শাসক দলের সাংসদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও দিল্লি পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। এর ফলে দেশের থেকে গোলাপের সুগন্ধ বেরোচ্ছে? হামাগুড়ি দেবেন না।’

সংবাদ সংস্থা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এই ইস্যুতে ভিনেশ ফোগাট বলেন, ‘কোনও তো কারণ আছে, যার জন্য অলিম্পিক সংস্থা বা ভারতের ক্রীড়া মন্ত্রক আমাদের কথা শুনছে না। আমি পিটি ঊষাকে ফোন করেছিলাম। তবে তিনি আমার ফোন তোলেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গোটা দেশ ক্রিকেটকে পুজো করে। তবে এখন একজন ক্রিকেটারও মুখ খুলছেন না। আমরা এটা বলছি না যে তাঁরা আমাদের পক্ষে কথা বলুন। তবে কিছু তো বলুন। নিরপেক্ষ হয়েও ন্যায়ের জন্য মুখ খুলুক তাঁরা। এটাই আমার বেদনার কারণ। ক্রিকেটার হোক, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হোক, অ্যাথলিট হোক কি বক্সার… তাঁরা মুখ খুলুক।’ ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’-এর উদাহরণ তুলে ধরে ভিনেশ বলেন, ‘এরকম নয় যে আমাদের দেশে বড় মাপের ক্রীড়াবিদ নেই। ক্রিকেটাররা আছেন। ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের সময় তাঁরা তাঁদের মতামত প্রকাশ করেছিলেন। আমাদের কি সেটুকুও প্রাপ্য নয়।’