Canning Arrest: তৃণমূল নেতাকে খুন করতে যাওয়ার পথে অস্ত্রসহ গ্রেফতার দলেরই প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি

তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে খুন করতে যাওয়ার পথে অস্ত্রসহ গ্রেফতার তৃণমূলেরই প্রাক্তন অঞ্চল প্রধানসহ ৪ জন। রবিবার রাতে একটি গাড়িকে ধাওয়া করে খলিল মোল্লা নামে ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে ক্যানিং থানার পুলিশ। তিনি ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের দাঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি। ধৃতদের কাছ থেকে ১টি বন্দুক, কার্তুজ, ধারাল কাটারি-সহ ১ লক্ষ ৪১ হাজার নগদ উদ্ধার হয়েছে।

দাঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের এক বুথ সভাপতি বাবর আলি মোল্লা বলেন, ‘আমাকে এক স্থানীয় যুবক বলে, তোমাকে মার্ডার করার জন্য খলিল আমাকে নিয়োগ করতে চাইছে। তোমার গতিবিধির খবর খলিলকে দিলে সে আমাকে মোটা টাকা দেবে বলেছে। আমি সেকথা পুলিশকে জানাই। রবিবার রাতে ওই রাস্তা দিয়ে আমার ফেরার কথা ছিল। পুলিশ সেখানে পাহারা বসায়। তখনই খলিলদের গাড়ি দেখতে পান পুলিশকর্মীরা। তাড়া করে বারুইপুর রোড থেকে গাড়িটিকে ধরেন তাঁরা।’

তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে দাঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী রাজু নস্করকে খুন করে জেল খেটেছিল খলিল। এর পর দল তাকে বহিষ্কার করে। একে ওকে ধরে ও তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করছে। আমাকে সরাতে পারলে ওর এলাকা দখল করতে সুবিধা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই খুনে আর কেউ যুক্ত কি না জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের সোমবার আলিপুর আদালতে চালান করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।

এই ঘটনায় বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘দখলদারির রাজনীতিতে এসব তো হবেই। তৃণমূল একটা নিয়ন্ত্রণহীন দল। প্রশাসন বলে কিছু নেই। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে তত এই ধরণের ঘটনা ঘটবে।’

তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার দুষ্কৃতীদের এনকাউন্টার করে না। বরং তাদের ধরে আদালতে পেশ করে।’