নিজের দলের হয়ে ভোট চাওয়ার আগে বলুন ‘নো ভোট টু মমতা’, DA মঞ্চে বললেন শুভেন্দু

ডিএর দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মহামিছিল শেষে সভায় ফের একবার রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, নিজের দলের হয়ে ভোট চাওয়ার আগে বলুন ‘নো ভোট টু মমতা’।

এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। গণদেবতা ওনাকে হারিয়েছেন আমাকে সামনে রেখে। কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার। আপনারা সবাই সাহায্য করুন। কে জিতবে ঠিক করবে জনগণ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের এই অত্যাচারী শাসককে প্রাক্তন আমাদের করতেই হবে। নিজের দলের ভোট চাওয়ার আগে বলতে হবে নো ভোট টু মমতা’।

আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান ফাঁকা। সব চাকরি বেচে দিল। যারা ধর্মঘটে গেছিল মমতার সরকার দমন পীড়ন করে তাদের ১ দিনের বেতন কেটেছে। বদলি করেছে। প্রথম দিন থেকে ভাস্করবাবু সহ পুরো নেতৃত্বকে সমর্থন দিয়েছি আমরা। জনগণ আমাদের এরাজ্যের বিরোধী দল করেছে। বিরোধী দলনেতা মানে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা নয়। যত জন সরকারের দ্বারা, সরকারি দলের দ্বারা আক্রান্ত হবেন তার বিরোধিতায় আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব’।

তাঁর কনভয়ের গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে শুভেন্দুবাবু এদিন প্রথমবার মুখ খোলেন। বলেন, ‘আমি তো গোটা পশ্চিমবঙ্গের লোককে আবেদন করব। যেখানেই দুর্ঘটনা হবে, যেখানেই খুন হবে আমাকে খবর দেবেন। আমি ওই দেহটা নিয়ে এই কালীঘাটের গলিতে ঢুকব। শান্তনু ব্যাটার কত ক্ষমতা আছে আমি দেখব। কী অদ্ভূত, আইসি কালীঘাট, তিনি আবার এসিপি-ও’।

এদিনের মিছিলে সরকারি কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে মিছিল। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, DA আন্দোলনের মঞ্চ মূলত বাম প্রভাবিত। আর নির্বাচনে সরকারি কর্মচারীদের ভূমিকা শুভেন্দুবাবু বিলক্ষ্মণ জানেন। তাই মতাদর্শগত বিভেদ থাকলেও সুর নরম করে নির্বাচনের আগে তাদের মন পাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।