বাখমুতে ওয়াগনারের স্থলে চেচেন যোদ্ধাদের পাঠাতে চান কাদিরভ

চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ বলেছেন, ইউক্রেনীয় শহর বাখমুত দখলের অভিযান থেকে রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ যোদ্ধাদের প্রত্যাহার করলে সেখানে তিনি নিজের বাহিনীকে পাঠাবেন। শুক্রবার এই অঙ্গীকারের কথা টেলিগ্রামে প্রকাশ করেছেন পুতিন মিত্র বলে পরিচিত এই চেচেন নেতা।

বিবৃতিতে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন এবং রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের মধ্যকার অপ্রীতিকর বিরোধে আক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন রমজান কাদিরভ। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে লড়াইয়ের যে শ্রদ্ধা প্রিগোজিনের তা রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দেয়নি বলে এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি বেড়েছে।

পর্যাপ্ত গোলাবারুদ সরবরাহ না করার প্রিগোজিনের অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য রুশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চেচেন নেতা। এরপর তিনি ইউক্রেনের মারিউপোলে চেচেন যোদ্ধারা লড়াইয়ের সময় একই ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল বলেও উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেছেন, আমি নিজে মস্কোতে ফোন দেই, কমান্ডার ও ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলি। এক মাস পর সমস্যার সমাধান হয়। এটা সত্যি যে প্রথমবার ফোনালাপেই সমস্যার সমাধান হয়নি। কিন্তু আমাদের ইউনিট ভিডিও ধারণ করে না। তারা শত্রুদের আনন্দ করার মতো তথ্য প্রকাশ করে না।

প্রিগোজিনের সমালোচনা করে কাদিরভ বলেছেন, সহযোদ্ধাদের মরদেহ ভিডিওধারণ করা ভুল। এমনটি না করি।

তিনি লিখেছেন, চেচেন ইউনিটগুলো ইউক্রেনে কঠিন এলাকায় ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে। বড় ভাই প্রিগোজিন ও ওয়াগনার যদি বাখমুত ছেড়ে যায় তাহলে তিনি ও তার বাহিনী সেই শূন্যতা পূরণ করবেন।

কাদিরভ লিখেছেন, পরিস্থিতি যদি এমন হয় তাহলে আমাদের যোদ্ধারা এগিয়ে যেতে এবং শহরটি দখলের জন্য প্রস্তুত। এটি কয়েক ঘণ্টার ব্যাপার।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ক এক বিশ্লেষক জ্যাসন জয় স্মার্ট বলেছেন, কাদিরভের বক্তব্য প্রমাণ করে তিনি তার প্রভূ পুতিনকে সন্তুষ্ট করতে উন্মুখ। যদিও চেচেন যোদ্ধাদের বাখমুতে পাঠানো অঙ্গীকারে একটি প্রশ্ন উঠছে: কেন এখন পর্যন্ত তারা বাখমুতে লড়াই করছে না। এর সব কিছু দেখিয়ে দিচ্ছে কাদিরভ কীভাবে পুতিনকে সন্তুষ্ট করতে চাইছেন। একই সময়ে তিনি রাশিয়ার নিয়মিত সেনাবাহিনী যে তাদের মতো বাইরের শক্তি ছাড়া অসহায় তা তুলে ধরতে চাইছেন।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন কাদিরভ। তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র: নিউজউইক