Dengue-Malaria Report: ডেঙ্গু- ম্যালেরিয়ার হাড়হিম করা রিপোর্ট, আক্রান্তের নিরিখে দেশে এক নম্বরে বাংলা, দ্বিতীয় কে?

আর কয়েক মাস বাদেই বঙ্গে আসবে বর্ষা। তবে এই গরমেও মশার উৎপাত কম কিছু নয়। তবে এসবের মধ্য়েই বাংলায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ নিয়ে উদ্বেগের কথা সামনে এল। পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার রিপোর্টে এবার উঠে এসেছে অত্যন্ত উদ্বেগজনক তথ্য়। সেখানে দেখা যাচ্ছে দেশের মধ্যে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ছড়ানোর নিরিখে একেবারে শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলা।

আসলে রাতে মশা দিনে মাছি, এই নিয়ে বেঁচে আছি। এই আপ্তবাক্যকে একেবারে অক্ষরে অক্ষরে যেন পালন করছে বাংলা। পরিসংখ্য়ান বলছে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ। অন্য়দিকে ম্যালেরিয়ার হিসাবটাও বেশ উদ্বেগের। এখানে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে জানা গিয়েছে সব মিলিয়ে দেশের মধ্য়ে মশা বাহিত রোগে আক্রান্তের নিরিখে একেবারে শীর্ষে রয়েছে বাংলা।

এদিকে ডেঙ্গু-ম্য়ালেরিয়ার রিপোর্ট সঠিক সময়ে কেন্দ্রকে দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ ওঠে। পরে অবশ্য় কেন্দ্রের কাছে রাজ্য়ের স্বাস্থ্য দফতর রিপোর্ট পাঠায় বলে জানা গিয়েছে। আর সেই রিপোর্টেই লুকিয়ে রয়েছে উদ্বেগের ছবি। দেখা যাচ্ছে ২০২২ সালের ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া মিলিয়ে ১ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। ডেঙ্গুতেও একেবারে দেশের মধ্য়ে এক নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সারা দেশে ম্য়ালেরিয়া আক্রান্তের ক্ষেত্রে দেশের মধ্য়ে একেবারে প্রথম স্থানে বাংলা।

মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের নিরিখে উত্তরপ্রদেশ রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৯ হাজারের কিছু বেশি। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একসঙ্গে এই রিপোর্ট সামনে আনা হয়েছে। তবে পরিসংখ্য়ান বলছে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে অনেকটাই বেশি আক্রান্ত হয়েছে মশাবাহিত রোগে। তবে বাংলায় এভাবে মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে।

এদিকে অতীতে বার বার দাবি করা হয়েছিল রাজ্য সরকার মশাবাহিত রোগের নানা রিপোর্ট চেপে যায়।তবে রাজ্য সরকার একথা কখনই স্বীকার করেনি। কিন্তু এসবের মধ্যেই কেন্দ্রের তরফে গোটা দেশের মশাবাহিত রোগের পরিসংখ্যান সামনে আনা হয়েছে। আর সেখানেই রয়েছে একেবারে উদ্বেগের ছবি। দেখা যাচ্ছে সেই তালিকায় নাম রয়েছে বাংলারও। কিন্তু সেটা একেবারে ওপরের দিকে।

কিন্তু এবার প্রশ্ন কেন বাংলায় মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না? তবে কি বছরভর নিকাশি ব্যবস্থাকে যথাযথভাবে পরিষ্কার না করার জেরেই কি মশার আঁতুরঘর তৈরি হচ্ছে? যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।