মার্কিন মল-এ এলোপাথারি গুলিতে মৃত্যু, তেলাঙ্গানায় ঘরে ফিরছে মেয়ের নিথর দেহ! শোকস্তব্ধ ঐশ্বর্যর পরিবার

সদ্য শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক মল-এ হাড়হামি করা কাণ্ড ঘটে যায়। সেখানে একটি মল-এর সামনে বন্দুকবাজের হামলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই হামলার জেরে এক ভারতীয় মহিলারও মৃত্যু হয়েছে। টেক্সাসের ডালাসে ওই মল-এর সামনে এলোপাথারি গুলিতে নিহত হয়েছেন ভারতীয় মহিলা, ঐশ্বর্য থাটিকোন্ডা।

আর চার পাঁচটা দিনের মতোই তিনি গিয়েছিলেন মল-এ বাজার করতে। সঙ্গে ছিল বন্ধু। তবে কে জানত, যে তাঁর অদৃষ্টে ততক্ষণে কী লেখা রয়েছে। আচমকা মল-এর সামনে এক ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমেই গুলি চালাতে থাকে। অ্যালেন প্রিমিয়াম আউটলেটের সামনে তখন এলোপাথারি গুলি চালাচ্ছে ব্যক্তি। মুহূর্তে শোরগোল পড়ে যায়। আশপাশে থাকা গাড়ি চলে যায়। মুহূর্তে সেই বন্দুকের গুলিতে লুটিয়ে পড়েন ৯ জন। মৃত্যু হয় তাঁদের। এই মৃতেদর মধ্যে ছিলেন ভারতীয় ঐশ্বর্য থাটিকোন্ডা। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ঐশ্বর্য আমেরিকায় গিয়েছিলেন এক প্রজেক্টের কাজে। শনিবার দুপুর ৩.৩০ মিনিটে ওই গুলি চালনা শুরু হয়। শেষপর্যন্ত পুলিশ আততায়ী মরিসিও গারসিয়াকে গুলি করে নিহত করতে বাধ্য হয়। ভারতের তেলাঙ্গানার রাঙ্গারেড্ডি জেলার বাসিন্দা। সেখানের জেলা কোর্টের জাজ ঐশ্বর্যের বাবা। ‘পারফেক্ট জেনারেল কনট্রাক্টর্স এলএলসি’ সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে আমেরিকায় বিশেষ প্রজেক্টে ছিলেন ঐশ্বর্য। তিনি সংস্থার প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়াক হিসাবে ছিলেন কর্মরত। 

( লক্ষ্য শেয়ার মার্কেটে লগ্নি, প্লাস্টিকের বন্দুক ঠেকিয়ে সোনার দোকান লুঠ কিশোরের)

উল্লেখ্য, ঠিক গুলি চালনার আগেই বাড়িতে ফোনে কথা বলেছিলেন ঐশ্বর্য। কিন্তু তারপর টিভিতে এমন গুলির ঘটনা দেখেই তাঁর বাড়ি থেকে ফোন করা হয়। তারপর থেকে ঐশ্বর্যকে ফোনে পাওয়া যায়নি। দুশ্চিন্তার পারদ চড়তে থাকে। এরপর দুশ্চিন্তার এক রাত কাটিয়ে শেষে রবিবার বাড়ি আসে দুঃসংবাদ। ঘরের মেয়ে যে আর কোনও দিনও ফিরবেনা তা জানতে পারেন ঐশ্বর্যের বাড়ির সকলে। আসে ঘরের মেয়ের মৃত্যু সংবাদ। কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। এরপর তাঁর নিথর দেহ বাড়ি ফেরার পথে পাড়ি দেয়। এদিকে, ঐশ্বর্যের বন্ধু আপাতত স্থিতিশীল। তিনি আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup