Manipur Violence Update: মণিপুরের হিংসায় মৃত প্রায় ৬০, এখনও আটকে ১০,০০০, দোষীদের ধরতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত

মণিপুরে হিংসার ঘটনায় প্রায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২৩১ জন। এমনই জানালেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া ২০,০০০ মানুষকে ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও ১০,০০০ মানুষ আটকে আছেন। তাঁদের দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং যাবতীয় সাহায্য করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টির উপর লাগাতার নজর রেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যারা ওই হিংসার ঘটনায় প্ররোচনা দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের তফসিলি জনজাতি গোষ্ঠীর মর্যাদা প্রদানের দাবি ঘিরে গত সপ্তাহে হিংসা ছড়ায় মণিপুরে। জ্বলতে থাকে আগুন। পুড়িয়ে দেওয়া হয় প্রচুর ঘরবাড়ি। গির্জা এবং মন্দিরেও আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে মোতায়েন করা হয় ভারতীয় সেনা এবং আধা-সামরিক বাহিনী। তারপর অনেকটাই শান্ত হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য। সেই পরিস্থিতিতে সোমবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৩ মে রাজ্যে যে ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, তার জেরে প্রায় ৬০ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২৩১ জন। প্রায় ১,৭০০ বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ’

মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন জানান, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২০,০০০ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ১০,০০০ মানুষ আটকে পড়েছেন। যাঁরা আটকে পড়েছেন, তাঁদের উদ্ধারের জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ভিনরাজ্য থেকে যাঁরা মণিপুর থেকে এসেছেন, তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানোর জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee on Manipur issue: ‘আমাদের রাজ্যে কিছু হলেই কেন্দ্রীয় দল আসে, মণিপুরে কেন নয়!’ প্রশ্ন মমতার

ইতিমধ্যে মণিপুর থেকে নিজেদের রাজ্যে ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে। পশ্চিমবঙ্গের কয়েকজনও মণিপুর থেকে ফিরে এসেছেন। তবে এখনও অনেকে আটকে আছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের যে বাসিন্দারা মণিপুরে আটকে আছেন, তাঁদের দ্রুত ফেরানোর জন্য সেনার সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে মণিপুর থেকে ভিনরাজ্যের (রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ) যাঁরা আসছেন, তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। উদাহরণ হিসেবে মমতা জানান, যাঁরা রাতে আসছেন, তাঁদের যদি পরদিন সকালে ট্রেন থাকে, তাঁদের রাত্রিবাসের আয়োজন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কন্ট্রোল রুমে ফোন, অশান্ত মণিপুর থেকে ১৮ পড়ুয়াকে ঘরে ফেরাল নবান্ন

তারইমধ্যে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুরো বিষয়টির উপর প্রথম থেকেই নজর রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোন গোষ্ঠী বা কারা এই হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছিল, তাদের চিহ্নিত করতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করা হবে। সেইসঙ্গে যে সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেননি, তাঁদের চিহ্নিত করতেও তদন্ত করা হবে। ভুয়ো খবর যাতে কেউ না ছড়ান, সেজন্য সবাইকে আর্জি জানাচ্ছি।’

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)