Custodial death case: পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর মামলা, সুপ্রিম কোর্টে মহা বিপাকে প্রাক্তন IPS সঞ্জীব ভাট

হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যুর ঘটনার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত প্রমাণ আদালতে পেশ করার আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন গুজরাট ক্যাডারের আইপিএস সঞ্জীব ভাট। তবে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। ১৯৯০ সালের ওই কাস্টডিয়ার ডেথ কেসটি হয়েছিল। এদিকে সঞ্জীব ভাটের আইনজীবী মঙ্গলবার জানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রেই গোটা মামলায় পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। বিচারপতি এমআর শাহের বিরুদ্ধে এই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তাঁকে মামলার প্রক্রিয়া থেকে সরানোর আবেদন করা হয়েছিল।

এদিকে গুজরাট সরকারের পক্ষে যিনি আইনজীবী ছিলেন তিনি জানিয়ে দেন, আগে কেন তিনি এনিয়ে কিছু বলেননি।

মামলা থেকে কার্যত অব্যাহতি চেয়েছিলেন ওই প্রাক্তন আইপিএস। এনিয়ে বিচারপতি এমআর শাহ ও সিটি রবিকুমার তাঁর আবেদন গ্রহণ করতে চাননি।

১৯৯০ সাল একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরে প্রভুদাস বৈষ্ণানি নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ সেই সময় ধরে এনেছিল। প্রায় ১০০জনকে ধরে আনা হয়েছিল সেই সময়। ৯দিন পুলিশ হেফাজতে থেকে কিডনির সমস্যায় মারা যান ওই ব্যক্তি। সেই সময় ভাট ছিলেন জামনগরের সহকারী পুলিশ সুপার।

এনিয়ে সেই সময় দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। পরে তৎকালীন আইপিএস সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সেই রায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু হাইকোর্ট সেটা মানতে চায়নি।

মঙ্গলবার অ্য়াডভোকেট দেবদত্ত কামাত প্রাক্তন আইপিএসের পক্ষে দাঁড়ান। তিনি জানিয়েছিলেন, আদালতের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু ন্যায় বিচার শুধু করলেই হয় না, সেটা যে করা হচ্ছে সেটাও দেখাতে হয়। বিচার প্রক্রিয়া বলছে আপনি এই মামলা আর শুনবেন না। কারণ এই মামলা পক্ষপাতদুষ্ট।

এদিকে অ্য়াডভোকেট মনিন্দর সিং গুজরাট সরকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি প্রাক্তন আইপিএসের আবেদনের বিরোধিতা করেন। তিনি বিচারপতি শাহ অন্য় মামলাতেও থাকেন। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠেনি।

তিনি বলেন বেছে বেছে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে সেই গ্রাউন্ডে আমি মামলা থেকে রেহাইয়ের জন্য় আবেদন করতে পারেন না। কারণ এতে আদালত অবমাননা হতে পারে।

এদিকে আদালতের তরফে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেটা নাকচ করার জন্য় তিনি শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। পরে ২০২২ সালের অগস্ট মাসে তিনি সেটা প্রত্যাাহার করে নেন। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে তার কারাদণ্ড হয়েছিল। তবে হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল তার কারাদণ্ড বাতিল করার আবেদন শোনা হবে না। কারণ আদালতের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা নেই। তিনি আইনকে অপব্যবহার করার চেষ্টা করছেন বার বার।