জামালপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

জামালপুরের মেলান্দহে মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৮ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১০ মে) বিকালে উপজেলার কোনামালঞ্চ মসজিদে ওই শিক্ষকের থাকার ঘরে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বুধবার রাত ১০টা) মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুটি বুধবার বিকাল ৪টার দিকে মেলান্দহ থানার কোনামালঞ্চ সান্নাহ নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়তে গেলে শিক্ষক শরিফুল তার থাকার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার করলে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার। সেখানে তাকে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়ার পরেও অবস্থা অবনতি হলে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়।

অভিযুক্ত শরিফুল ‘কোনামালঞ্চ কুরআন ও সান্নাহ নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম। সে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কাজইকাটা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে, এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।’