তৃণমূল কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে দেদার বোমাবাজি, বসিরহাটে উদ্ধার তাজা বোমা

আবার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে দেদার বোমাবাজি করল একদল দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বসিরহাটের সাকচূড়া বাগুন্ডি সোলাদানা এলাকার হরিহরপুর গ্রামে। এই এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী রুহুল কুদ্দুস মণ্ডল। তাঁর বাড়িতে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে পর পর তিনটে বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। তাতে বাড়ি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে আজ সকাল থেকে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই বোমাবাজির ঘটনায় মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করেছে।

ঠিক কী ঘটেছে বসিরহাটে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত দেড়টা নাগাদ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী রুহুল কুদ্দুস মণ্ডলের বাড়ি লক্ষ্য করে দেদার বোমা ছোড়া হয়। রুহুলের বাড়িতে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান তখন ঘুমাচ্ছিলেন। বোমার শব্দে সকলের ঘুম ভেঙে যায়। এমনকী ভীত–সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন সকলে। সকাল হতেই পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জমা দেন রুহুল। এই ঘটনায় গ্রামের মানুষজনও পুলিশকে জানান, রাতের অন্ধকারে বোমা মেরে আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করুন এবং গ্রামের মানুষজনকে শান্তি ফিরিয়ে দিন।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশ অকুস্থলে গিয়ে বাড়ির ছাদ থেকে বোমার তিনটি স্প্লিন্টার খুঁজে পায়। বাড়ির সামনেই একটি তাজা বোমাও উদ্ধার করে তারা। দুটি বোমা ফাটলেও একটি বোমা ফাটেনি কোন কারণে। তবে তাতেই আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ গিয়ে একটি তাজা বোমা উদ্ধার করে। তৃণমূল কর্মীর বাড়ির লক্ষ্য করে বোমা মারায় বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে। কে বা কারা জড়িত জানতে এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সমস্ত তথ্য নিয়ে দুষ্কৃতীদের তল্লাশি শুরু হবে।

ঠিক কী বলছেন তৃণমূল কর্মী?‌ এই ঘটনায় তাঁর গোটা পরিবার আতঙ্কিত বলে তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন। রুহুল কুদ্দুস মণ্ডলের কথায়, ‘‌আমি এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। কিছুদিন আগে সোলাদানা বাজারে একটি গণ্ডগোল হয়েছিল। আমি তার প্রতিবাদ করি। তারই কর্মফল আমাকে ভোগ করতে হল। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিক। বাড়িতে বোমাবাজি হওয়ায় স্ত্রী এবং সন্তানদের সুরক্ষা নিয়ে আমি আতঙ্কে রয়েছি।’‌ গ্রামে আগে কোনও দিন এমন ঘটনা ঘটেনি। প্রত্যেকেই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেন। হঠাৎই মাঝরাত থেকে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে বলে জানান তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর পরিবার।