শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তরফে আদালতে জানিয়ে দেওয়া হল, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে একপেশে বা পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাব নিয়েছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে একথা বলা হয়েছে।
বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই সাবমিশন জমা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় এর আগে গত ১৩ এপ্রিল নির্দেশ দিয়েছিলেন সিবিআই ও ইডি এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে জেরা করতে পারবেন।
এদিকে আইনজীবী মারফৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁকে জেরা করার ব্যাপারে ইডির তরফে কোনও আবেদন করা হয়নি।
এদিকে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের আইনজীবী আর্জি জানান, বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ ও আমার মক্কেলের বক্তব্যের মধ্যে হয়তো কিছু মিল রয়েছে। একজন তো প্রশ্ন করতেই পারেন কীসের ভিত্তিতে এসব করা হল?
সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে ইডি যে ব্যাপারে আবেদন করেছিল তার সঙ্গে অভিষেককে জেরার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা ছিল কুন্তল ঘোষ কয়েকজন তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল। তা নিয়েই এই আবেদন করা হয়েছিল।
আইনজীবী জানিয়েছেন, বিচারপতি এক পয়েন্ট থেকে অপর পয়েন্টে চলে যাচ্ছেন। সেকারণেই আমি বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি যে তিনি বায়াস(Bias) আচরণ করছেন। সেকারণেই সুপ্রিম কোর্ট তাঁর হাত থেকে মামলা তুলে নিয়েছেন।
সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশনামাকে উল্লেখ করে আইনজীবী জানিয়েছেন, রোস্টারের বাইরে গিয়ে বিচারপতি মামলা শুনতে পারেন না।
তিনি জানিয়েছেন, যদি বিচারপতি মনে করেন তাৎক্ষণিকভাবে তিনি মামলা শুনতে চান তবে তিনি একটি অর্ডার দিতে পারেন যাতে মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পেশ করা হয় যাতে তাঁর কাছ মামলার দায়িত্ব আসে। কিন্তু ইনস্টান্ট কেসের ক্ষেত্রে আগে কোনওদিন এমনটা হয়নি।
আইনজীবী জানিয়েছেন, বিচারপতি টিভিতে গিয়ে বলেছিলেন তিনি অভিষেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে চান। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। তবে ডিভিশন বেঞ্চ আমার বিষয়টি গ্রহণ করেছেন। তবে এটা মনে রাখবেন সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতির বোর্ড থেকে মামলাটি সরিয়ে নিয়েছে। এটা আমাদের হাইকোর্টের সম্মান বৃদ্ধি করেনি। বিরল মামলায় এই বদল করা হয়। শীর্ষ আদালত কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা তাঁর একপেশে মনোভাবেরই ফলাফল। জানিয়েছেন অভিষেকের আইনজীবী।