WBBPE: আশঙ্কায় ঘুম হয়নি সারা রাত, সকাল হতেই পর্ষদের দফতরের সামনে প্রাথমিকের চাকরিহারারা

নিয়োগে একাধিক বেনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় শুক্রবার ২০১৬ প্রাথমিক নিয়োগের ৩৬০০০ শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশের পর রীতিমতো আতঙ্কিত সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ। চাকরি হারানোর ভয়ে শনিবার সকালেই তাদের বেশ কয়েকজন হাজির হন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরের সামনে। তাদের দাবি, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করতে পর্ষদ কী পরিকল্পনা করছে তা জানাতে হবে তাদের।

শুক্রবার এক নির্দেশে ২০১৬ সালে প্রাথমিকের শিক্ষক হিসাবে অপ্রশিক্ষিত ৩৬০০০ জনের নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই নিয়োগে প্রশিক্ষিতদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ছিল। তা না করে ইচ্ছামতো অপ্রশিক্ষিতদের নিয়োগ করেছে পর্ষদ। অথচ প্রশিক্ষিতদের অনেকে চাকরি পাননি। এমনকী নিয়োগে সংরক্ষণবিধিও মানা হয়নি। বরখাস্ত শিক্ষকরা ৪ মাস চাকরি করতে পারবেন বলে জানিয়েছে আদালত। তবে তারা পার্শ্ব শিক্ষকের হারে বেতন পাবেন এই ৪ মাস। ৩ মাসের মধ্যে শূন্যপদে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

আদালতের নির্দেশের ফলে যারা চাকরি হারাতে চলেছেন তাদের মধ্যে ইতিমধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। কারা বরখাস্ত হবেন, আর কারা হবেন না তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। সেই আশঙ্কিত শিক্ষকরা শনিবার সকালে বিধাননগরে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরের সামনে হাজির হন। নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করেন তাঁরা। খুঁটিয়ে পড়েন আদালতের রায়। এর পর তাঁরা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের সঙ্গে দেখা করবেন বলে দাবি জানাতে থাকেন।

তাঁদের দাবি, আমাদের নিয়োগ বৈধ। পর্ষদ আমাদের চাকরি বাঁচাতে কী পদক্ষেপ করতে চলেছে তা জানাতে হবে।