‘‌নির্বাচনী কাজের বাইরে রাখতে হবে চোর–বদমাশদের’‌, বঙ্গ–বিজেপিকে বার্তা তথাগতের

বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর এই লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩৫টি আসন চায় বিজেপি। এমনই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ পাল্টা ৪০টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা তৃণমূল কংগ্রেসকে বেঁধে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে এবার কড়া ভাষায় বঙ্গ–বিজেপিকে বার্তা দিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। আগেও তিনি একুশের নির্বাচনের পর তুলোধনা করেছিলেন দলীয় নেতৃত্বকে। এবার আগাম করলেন।

এবার একদিকে একুশের নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর অন্যদিকে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় থেকে শিক্ষা নিতে বলেছেন তিনি। এই বিষয়ে তিনি একটি টুইট করেছেন। সেখানে কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন ত্রিপুরা–মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। এমনকী এখনই কোন কাজটা করা উচিত সেটাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। আগে অবশ্য তাঁর মুখে কামিনী–কাঞ্চন থেকে কেডিএসএ তত্ত্ব শোনা গিয়েছিল। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের পচা মাল দলে নেওয়াই যে পরাজয়ের অন্যতম কারণ সেটাও তিনিই বলেছিলেন।

এদিকে প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়ের মতে, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আগামী দিনে নির্বাচনের কাজের বাইরে রাখতে হবে চোর, বদমাশদের। কর্ণাটকের ভোট ফলাফল তুলে ধরে, বঙ্গ বিজেপিকে কড়া ভাষায় বার্তা দিলেন তথাগত রায়। এমনকী পদক্ষেপ না করলে, তৃণমূল বিরোধী ভোট বামেদের দিকে চলে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এই নিয়ে এখন জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ তথাগত রায় চোর–বদমাশ বলে কাদের বোঝাতে চেয়েছেন?‌ সেটা খোলসা করে টুইটে উল্লেখ করেননি।

ঠিক কী টুইট করেছেন তথাগত?‌ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে একদিকে বঙ্গ–বিজেপিকে সতর্ক করেছেন, অন্যদিকে কড়া ভাষায় তুলোধনাও করেছেন তথাগত রায়। টুইটে তিনি লেখেন, ‘‌কর্ণাটকে পরাজয় কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয়। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য এটা একটা শিক্ষা। নির্বাচনের কাজের বাইরে রাখতে হবে চোর–বদমাশদের। ২০২১ সালে বিজেপি হেরেছিল বাংলায় কারণ ১)‌ দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দুর্নীতিবাজ এবং একাধিক মহিলা সংস্রবে থাকা ব্যক্তিদের। ২)‌ বাংলার সঙ্গে বিজেপির সংযোগ তৈরির ক্ষেত্রে, কখনও গুরুত্ব দেয়নি। ৩)‌ প্রচারের জন্য বড় কোনও পরিকল্পনা ছিল না। দুটি ফাঁকা স্লোগান ছিল—আর নয অন্যায় এবং সোনার বাংলা। ৪)‌ মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর মুখ তুলে ধরা হয়নি।’‌