বিষ্ণু কুমার ঝা
প্রশান্ত কিশোরের পায়ে ব্যাথা। বিহারে তার জন সূরয যাত্রাতে আপাতত দু সপ্তাহের জন্য তিনি বিরতি টানছেন বলে খবর। কিন্তু কীভাবে ব্যাথা পেলেন পিকে? প্রশান্ত কিশোর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পদযাত্রার সময় তাঁর বাঁ পায়ে যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল। পরে চিকিৎসকরা তাঁকে কিছুদিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন। মনে করা হচ্ছে তাঁর পেশিতে ব্যাথা হয়েছে।
বয়স ৪৫ বছর। বলা হয়ে থাকে ২০২১ সালে বাংলায় তৃণমূলের জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল প্রশান্ত কিশোরের।তিনি আইপ্যাকের চিফ। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি জানিয়েছেন, আমার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আর কোনও সমস্যা নেই। খারাপ রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে হাঁটতে হয়েছে। তার জেরে পেশিতে টান লেগেছে। তবে এই পদযাত্রার পেছনে একটা সততার উদ্দেশ্য় রয়েছে। সেকারণে আমি এই পদযাত্রা থেকে বিরতি নিতে চাইনি।
এর সঙ্গেই তিনি যুক্ত করেছেন, বিহারের প্রতিটি কোণায় যাওয়ার জন্য আরও কয়েক মাস লাগবে। তবে পায়ের শুশ্রূষার জন্য আমার কিছুটা সময় লাগবে। ঠিক ১৫ দিন পরে ফের পদযাত্রা ঠিক এখান থেকেই এই ছন্দেই শুরু হবে।
কেন পদযাত্রায় বিরতি নিচ্ছেন,আবার কবে শুরু হবে পদযাত্রা সবটা জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। বিগতদিনে গোটা দেশ প্রশান্ত কিশোরকে কেবলমাত্র ভোট কুশলী হিসাবেই চিনত। কিন্তু সেই পিকে এখন শুধু ভোট কুশলী নন, তিনি গোটা বিহারকে জাগাতে চাইছেন জন সূরয যাত্রার মাধ্যমে। বিহারের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে দিতে চাইছেন এই জন সূরয যাত্রা আর। তবে দীর্ঘ পথে হাঁটার জেরে পেশিতে টান পড়েছে তাঁর। এরপরই আপাতত কিছুদিনের বিশ্রাম। এরপর ফের শুরু হবে এই যাত্রা।
গত ২২৬ দিন ধরে বিহারের বুকে পদযাত্রা করছেন পিকে। তবে আপাতত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তিনি কিছুদিনের জন্য বিশ্রামে যাচ্ছেন।
এদিকে গত মাসেই পিকের পায়ে কিছু ব্যাথার সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তার জেরে এবার সাময়িক বিরতি। ২০২২ সালের ২ অক্টোবর থেকে বিহারের পশ্চিম চম্পারণ থেকে শুরু হয়েছিল এই পদযাত্রা। মূলত গ্রামীণ বিহারের মধ্য়ে এক নতুন জাগরণ আনতে চাইছিলেন তিনি। তিনি বরাবর বলে আসছেন, রাজনীতিতে সততা ফিরে আসুক। রাজনীতিতে সৎ মানুষরা আসুন।
ইতিমধ্যেই এই পদযাত্রা প্রায় ২৫০০ কিমি পথ পেরিয়ে গিয়েছে। শেওহার, পূর্ব চম্পারণ, গোপালগঞ্জ, সিওয়ান, সারন, বৈশালি আর এখন সমস্তিপুরের উপর দিয়ে যাচ্ছে এই পদযাত্রা। আপাতত ১০-২৫ দিনের বিশ্রাম। ফের শুরু হবে পথ চলা।