কে যাবে তা নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের মধ্যে তুমুল বচসা, প্রাণ গেল বৃদ্ধার, গ্রেফতার ৩

হাসপাতাল থেকে কে নিয়ে যাবে কলকাতায়, তাই নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের মধ্যে ঝগড়ার জেরে প্রাণ গেল বৃদ্ধার। এই ঘটনায় সোমবার রাতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের সালারে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ নবান্ন অবিলম্বে জেলাপ্রশাসনের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ৩ জনকের গ্রেফতার করা হয়েছে। 

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের পছন্দ মতো একটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ বৃদ্ধাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া ব্যবস্থা করেন তাঁরা। কিন্তু, গাড়ি চালু করতেই পথ আটকায় দেয় অন্য অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা। তাঁদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। এমন কি অ্যাম্বুল্যান্স ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ।

পরে ওই বৃদ্ধার মৃত হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর আত্মীয়রা। তাঁরা পুলিশে অভিযোগ জানান। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্ত্বরে। বৃদ্ধার দেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। বৃদ্ধার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বৃদ্ধার পরিবারের লোকেরা।

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ নবান্ন। এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া। দ্রুত এফ আইআর দায়ের করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধির্কতা সিদ্ধার্থ নিয়োগী ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন। অ্যাম্বুল্যান্সের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে। (পড়তে পারেন। Mamata Banerjee on Kaliyaganj: কোথায় ভাই? ছোট্ট শিশু কি? কালিয়াগঞ্জের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরে বললেন মুখ্যমন্ত্রী)

নবান্ন এক সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,’যারা অ্যাম্বুল্যান্স ড্রাইভারকে মারল তাদের তখনই গ্রেফতার করল না কেন পুলিশ? তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ‘ 

এর আগে কালিগঞ্জের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনকে। অ্যাম্বুল্যান্সের টাকা যোগাড় করতে না পেরে মৃত সন্তানকে ব্যাগে করে বাড়ি ফিরেছেন বাবা। পর্যাপ্ত অ্যাম্বুল্যান্স থাকা সত্ত্বেও কেন এমন হল তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। তাই মুর্শিদাবাদের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দ্রুত পদক্ষেপ করেছে নবান্ন।