Calcutta High Court: ৩২ হাজার নিয়োগ বাতিলকে চ্য়ালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের মামলার শুনানি শেষ

প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে শেষ হল ম্যারাথন শুনানি। বুধবার বিকেল ৩টে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলে। শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত। শুক্রবার এই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ আসতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর।

গত শুক্রবার প্রাথমিকে নিয়োগে বেনিয়মের দায়ে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সোমবারই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। বুধবার ছিল সেই আবেদনের শুনানি। এদিন আদালতে দীর্ঘ শুনানি পর্বে দুপক্ষের আইনজীবী খুঁটিনাটি তুলে ধরেন। বেশ কিছু প্রশ্ন করেন বিচারপতিরাও। সন্ধ্যায় মামলাটির শুনানি শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা করে আদালত। জানায় শুক্রবার এই মামলা সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী রায় দেবে আদালত। এদিন চাকরিহারাদের হয়ে সওয়াল করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ গঙ্গোপাধ্যায়। শুনানি শেষে চাকরিহারাদের আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে শোনা যায়।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে শুক্রবার ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সেই রায় সংশোধন করে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি। আদালত জানিয়েছে, ২০১৬ প্রাথমিক নিয়োগে প্রশিক্ষিতদের অগ্রাধিকার দেওয়ার বিধি মানা হয়নি। মানা হয়নি সংরক্ষণ বিধি। হয়নি কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট। তবে বহিষ্কৃত শিক্ষকরা ৪ মাস পার্শ্ব শিক্ষকের বেতনে চাকরি করতে পারবেন বলে জানিয়েছে আদালত। সঙ্গে পর্ষদকে আদালতের নির্দেশ, ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন ২০১৬ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় বঞ্চিতরা।