Municipality Scam Case: পুর দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রেখেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। এই মামলার শুনানি সম্ভবানা রয়েছে চলতি সপ্তাহেই।

শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় অয়ন শীলকে। তার বাড়িতে তল্লাশির সময় উদ্ধার হয় পুরসভায় দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচুর নথি পায় সিবিআই। নথি উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পুর দুর্নীতিরও তদন্ত শুরু করার আর্জি জানায় হাইকোর্টে। গত ২১ এপ্রিল সিবিআইকে তদন্ত ভার দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে নতুন এফআইআর করে তদন্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, জানায় হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। শীর্ষ আদালত মামলায় স্থগিতাদের জারি করে।

এরই মধ্যে অন্য একটি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলাটি সরিয়ে অন্য কোনও বিচারপতি হাতে দেওয়ার কথা বলে সুপ্রিক কোর্ট। সেই নির্দেশ অনুযায়ী মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিনহার হাতে দেওয়া হয়। তিনি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখেন। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জে জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য । (আরও পড়ুন: ৩৬ হাজার নয়, ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি যাবে, রায় সংশোধন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের)

রাজ্যের যক্তি ছিল, যেহেতু আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। তাই কোনও ঘটনা ঘটলে রাজ্য পুলিশই তদন্ত করে। খুব কম ক্ষেত্রে অন্য সংস্থাকে তদন্ত ভার দেওয়া হয়। তাই এক্ষেত্রে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার হাতেই তদন্তভার থাকা উচিত। কিন্তু মমলাকারীদের যুক্তি ছিল, যেহেতু পুরসভার দুর্নীতির সঙ্গে শিক্ষা দুর্নীতি মিশে রয়েছে। সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। শুনানির পর বিচারপতি সিনহা সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রেখেছিলেন। (পড়তে পারেন। ৩৬ হাজার নয়, ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি যাবে, রায় সংশোধন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের)

এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি সপ্তাহেই মামলার শুনানি হতে পারে।