NIA Raid: ভোর সাড়ে ৫টা,দেশের ৮ রাজ্যের ৩২৪ ডেরায় হানা দিল NIA, গ্যাংস্টার-জঙ্গি যোগ মামলা

নীরজ চৌহান

ন্যাশানাল ইনভেসটিগেশন এজেন্সি ও পঞ্জাব ও হরিয়ানার পুলিশ ফোর্স দেশের আটটি রাজ্য় ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একযোগে অভিযান চালাল। ৩২৪টি লোকেশনে এই অভিযান চালানো হয়। মূলত গ্যাংস্টার, জঙ্গি ও পাচারকারীদের দমনে চলে এই তল্লাশি। এককথায় যৌথ তল্লাশি।

মূলত কোথাও অস্ত্র সাপ্লাই করা হচ্ছে কি না, তাদের পেছনে আর্থিক মদতদাতা কারা, কারা লজিস্টিক সহায়তা করছে, হাওয়ালার মাধ্য়মে কীভাবে আর্থিক লেনদেন হচ্ছে সবটা দেখা হয়েছে। পাকিস্তান ও কানাডার কোনও কট্টর গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এরা কাজ চালাচ্ছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে এনআইএ।

অর্ষদীপ সিং যারা কানাডা থেকে কাজ চালায়, লরেন্স বিষ্ণোই, চেনু পেহালওয়ান, দীপক তিতার, ভুপি রানা, বিকাশ লগরপুরিয়া, আশিস চৌধুরী, গুরুপ্রীত সেখন, দিলপ্রীত বাবা হর্ষিমরত সীমা, অনুরাধা সহ একাধিক গ্য়াংস্টারের কাজকর্ম সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছে এজেন্সি। পঞ্জাব, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, চন্ডীগড়, ও মধ্য়প্রদেশে এই অভিযান চলে। এনআইএর টিম একাই ১২৯টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। পঞ্জাব পুলিশ ১৪৩টি জায়গায় ও হরিয়ানা পুলিশ ৫২টি জায়গায় গিয়েছিল।

একেবারে ভোর সাড়ে ৫টার সময় এই গ্যাংস্টারদের ডেরায় কড়া নাড়ল এনআইএ। এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, ন্যাশানাল ইনভেসটিগেশন এজেন্সি, পঞ্জাব ও হরিয়ানার পুলিশ ফোর্সের সমণ্বয় রেখে ৩২৪টি লোকেশনে হানা দেয়। অস্ত্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। একাধিক জঙ্গি, গ্যাংস্টার সংক্রান্ত মামলায় এই অভিযান হয়েছে।

তারা একটি পিস্তল, ৬০টি মোবাইল, ৫টি ডিভিআর, ২০টি সিম, একটি হার্ড ডিস্ক, একটি পেন ড্রাইভ ও ৩৯ লাখ নগদ পেয়েছে। এদিকে এনআইএ তদন্তে দেখা গিয়েছে, একাধিক ক্ষেত্রে জেলে বসে পরিকল্পনার ছক কষা হয়েছে। এরপর বিদেশ থেকেও কলকাঠি নাড়া হয়েছে। এনআইএ জানিয়েছে সম্প্রতি তিহাড় সহ একাধিক জেলে গ্যাংওয়ার হয়েছিল। তারপরই বোঝা যাচ্ছে একাধিক জেল গ্যাংওয়ারের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে যাচ্ছে।

এমনকী দেখা যাচ্ছে ভারতে তাড়া খেয়ে অনেকে মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তানে চলে যাচ্ছে।তারা মাদক, অস্ত্র পাচারের মাধ্য়মে অর্থ জোগাড় করছে।

এর আগে এনআইএ ২৩১টি লোকেশনে রেইড করে ৩৮টি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল।৮৭টি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করাও হয়েছিল।