আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে: মেয়র আরিফ

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে হঠাৎ করে আমার বাসার নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছয় আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সিলেটে নতুন যোগদান করা আনসার ও ভিডিপি কমান্ডার। মৌখিক বা লিখিত, কোনোভাবেই আমাকে বা সিসিকের কাউকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। অথচ গত ছয় বছর ধরে মাসিক বেতন দিয়ে আনসার বাহিনীর ২৪ সদস্যকে নগর ভবন ও আমার বাসার অফিসসহ সিসিকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত রাখা হয়েছে। তাদের সরিয়ে নেওয়ায় আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন।

বুধবার (১৭ মে) বিকালে নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন মেয়র আরিফ। তিনি বলেন, প্রথম মেয়াদে মেয়র থাকাকালীন আমাকে সরকার থেকে দুই জন গানম্যান দেওয়া হয়েছিল। পরের মেয়াদে তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপর নগরবাসীর ট্যাক্সের টাকায় মাসিক চুক্তিতে আনসার বাহিনীর ২৪ সদস্যকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়। 

মেয়র আরও বলেন, শিডিউল করে সিসিকের পানি শোধনাগার ও যান্ত্রিক শাখাসহ (যেখানে সিসিকের বিভিন্ন গাড়ি ও মেশিন রাখা হয়) গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা দিয়ে আসছেন আনসার বাহিনীর ২৪ সদস্য। এর মধ্যে ছয় জনকে আমার বাসা ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ তাদের প্রত্যাহ্যার করে নেওয়ায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার বাসা-সংলগ্ন অফিসে রাখা সিসিকের লাখ লাখ মালামাল এখন অনিরাপদ। এটা অতিউৎসাহী হয়ে এই বাহিনীর পক্ষ থেকে করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। প্রশাসনের অতিউৎসাহী কতিপয় কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড সরকারকেও বেকায়দায় ফেলছে। কারণ আমার বাসার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যদের কিন্তু সরকারের নির্দেশনায় প্রত্যাহার করা হয়নি।

সিসিক নির্বাচন সামনে রেখে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে মেয়র আরিফ আরও বলেন, ‘সম্প্রতি মহানগরের যেখানে যাচ্ছি এবং আমার সঙ্গে যারা ছবি তুলছেন, দেখা যাচ্ছে রাতের বেলায় তাদের পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কাউকে রিমান্ডে নিচ্ছে। আমি তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। আমাকে প্রধানমন্ত্রী শপথ পড়িয়ে মেয়রের চেয়ারে বসিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনের অতিউৎসাহী কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা একজন জনপ্রতিনিধিকে কীভাবে মূল্যায়ন করতে হয়, সেটিও সম্ভবত ভুলে গেছেন।’

মেয়র আরিফ প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমার বাসায় যদি এভাবে নিরাপত্তা দেওয়া আইনসিদ্ধ না হয়, তবে দীর্ঘ ছয় বছর তারা কোথায় ছিলেন? আমি দেখছি, নগরবাসী থেকে আমাকে দূরে রাখার সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি নগরবাসীর কাছে দোয়া চাই।’