Paddy: বাঁকুড়ায় আছড়ে পড়ল শিলাবৃষ্টি, ধান থেকে আম, বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা, মাথায় হাত কৃষকের

মাঝেমধ্যেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে কালবৈশাখীর দাপট দেখা যাচ্ছে। তার সঙ্গে কিছু জায়গায় শিলাবৃষ্টিও হচ্ছে পুরোদমে। মঙ্গলবার দুপুরে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ও সোনামুখীতে কিছুক্ষণের জন্য শিলাবৃষ্টি হয়েছিল। তার জেরে একেবারে মাথায় হাত স্থানীয় কৃষকদের। তাঁদের দাবি ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না কৃষকরা।

কৃষকদের একাংশের দাবি, মঙ্গলবার দুপুরে আচমকাই আকাশ একেবারে কালো করে আসে। এরপরই শুরু হয়ে ঝড় বৃষ্টি। কিছুক্ষণের জন্য শিলাবৃষ্টিও হয়। আর তার জেরে ফসলের জমি একেবারে তছনছ হয়ে গিয়েছে। শশা, ঝিঙে, লাউ, কুমড়ো সহ বিভিন্ন ফসলে শিলার আঘাত লেগেছে। কৃষকদের দাবি, এই ফসলগুলিতে খুব শীঘ্রই পচন ধরে যাবে। এর জেরে বাজারে এগুলির দাম বিশেষ পাওয়া যাবে না।

কৃষকদের একাংশের দাবি , অনেক ক্ষেত্রেই কিছুটা দেরি করে ধান রোওয়া হয়েছিল। সবে ধানের শীষ কিছুটা বড় হচ্ছিল। কিন্তু আচমকাই নেমে এল বিপর্যয়। ধান জমির বিরাট অংশজুড়ে একেবারে যেন তাণ্ডব চালানো হয়েছে। একেবারে মাটিতে শুয়ে পড়েছে এই ধান গাছ। এগুলিকে রক্ষা করা আর হয়তো সম্ভব নয়।

তবে কৃষি দফতর সূত্রে খবর, আশার কথা একটাই যে শিলার আকার বিশেষ বড় ছিল না। কিছুটা ছোট সাইজের শিলা ছিল। সেই শিলার আঘাতে ক্ষতি তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে। শিলার আকার বড় হলে ক্ষতিও বেশি হত।

রণপুর, নবাসন, ইসবপুর, তেলরুই, নিত্য়ানন্দপুর, নন্দমোহনপুর, হামিরহাটি সহ এলাকার বহু গ্রামের কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এদিকে শুধু মাঠের ফসল ক্ষতি হয়েছে এমনটাই নয়। আমেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমের অন্যতম শত্রু হল শিলা। এই শিলাবৃষ্টি হলে আমের গায়ে কালো দাগ হয়ে যায়। বহু আম ফেটে যায়। সেই আমে দ্রুত পচন ধরতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে একে তো অধিক ফলনের জেরে এবার আমের বিশেষ দাম পাওয়া যাচ্ছিল না। তার উপর শিলাবৃষ্টির জেরে এই আম বাজারে আর বিক্রি করা সম্ভব নয়।