Madan Mitra calls for Boycotting SSKM: বাম জমানার SSKM-এর ‘প্রশংসা’, হাসপাতাল বয়কটের ডাক মদন মিত্রর

এসএসকেএম হাসপাতালে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রর ‘প্রভাব’ সর্বজনবিদিত। তবে সেই এসএসকেএম হাসপাতালেই রোগী ভরতি করাতে না পেরে কামারহাটির বিধায়ক গতরাতে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। তাঁর মুখে শোনা গেল বাম জমানার কাহিনী। এমনকী রোগী ভরতি করাতে না পেরে স্বাস্থ্য সচিব, মন্ত্রীকেও ফোন করেন মদন মিত্র। তবে তাতেও সেই রোগীকে ভরতি করাতে পারেননি তিনি। মদন মিত্র নিজেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থা নিয়ে। দাবি জানান, এসএসকেএম-এ দালালরাজ চলছে। মদন মিত্র বলেন, ‘সিপিএম-এর সময় ১ মিনিট লাগত। আর এখন এই অবস্থা।’

উল্লেখ্য, বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন শুভদীপ পাল নামের এক যুবক। তিনি এক সরকারি হাসপাতালেরই ল্যাব টেকনিশিয়ান। তবে এসএসকেএম-এর ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে নাকি তাঁকে ভরতি নেওয়া হয়নি। প্রাথমিক চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি। এই আবহে মদন মিত্র বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ানের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?’ মদন মিত্র জানান তিনি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে ফোন করেছিলেন। তবে মন্ত্রী নাকি তাঁকে বলেন, তিনি এখন কাউকে পাবেন না। তাতে ক্ষুব্ধ মদন বলেন, ‘ট্রমা কেয়ার তৈরি হয়েছে জনগণের জন্য। রোগী যদি ভরতি নাও করা যায়, চিকিৎসা তো হবে। এখানে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেওয়ার কথা।’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আমরা আসার পরও যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে গরিবমানুষগুলোর কি অবস্থা?’

মদন মিত্র এই পরিস্থিতি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতার হস্তক্ষেপ দাবি করেন। তিনি দাবি করেন, যতদিন না মুখ্যমন্ত্রী এই অব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করছেন, ততদিন যেন রোগীরা এসএসকেএম-এ না আসেন। মদন মিত্র বলেন, ‘আমি সবাইকে বলতে চাই, এসএসকেএম-কে না বলুন। অন্য জায়গায় রোগীদের চিকিৎসার জন্য যত খরচ লাগবে আমি হাতের ঘড়ি, আংটি বিক্রি করে দেব। যদি অন্য হাসপাতালে যাওয়ার পথে রোগী মারা যান, তাহলে মেডিক্যাল অফিসারের নামে মামলা করুন। আমি মামলা লড়ার খরচ দেব। সঙ্গে মৃতের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ।’ মদনের অভিযোগ, বাইরে থেকে এসে দালাল ঘুরছে। ট্রমা সেন্টারে ভরতি করতে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাইছে। এই আবহে পিজি-র সুপার, ডিরেক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, ‘সিপিএম-এর আমল হলে এক মিনিট লাগত রোগী ভরতি করতে।’