Ram Bhajan Kumar: বাংলার নয়, দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল UPSC-তে সফল, দেখিয়ে দিলেন দিনমজুরের সন্তান

পিটিআই, ওয়াই শর্মা

দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল। নাম রামভজন কুমার। এবার ইউপিএসসিতে ৬৬৭তম স্থানে রয়েছেন তিনি। বয়স ৩৪ বছর। দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল পুলিশ স্টেশনে তিনি পোস্টিং। তবে একবার নয়, একেবারে আটবারের চেষ্টায় চূড়ান্ত সফল তিনি।

সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ২০২২। সেই পরীক্ষারই ফলাফল ঘোষণা করেছে ইউপিএসসি। তার মধ্য়ে সফল ৯৩৩জন প্রার্থীর মধ্যে নাম রয়েছে রামভজন কুমারের। পরিশ্রম আর চেষ্টা থাকলে, লক্ষ্য স্থির থাকলে সফলতা আসবেই। ফের প্রমাণ করে দিলেন রামভজন।

এই পরীক্ষা যেন জীবনটাকে রাতারাতি বদলে দিল। সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব সকলের ফোন, মেসেজে খালি অভিনন্দন বার্তা। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকেও তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তা জানানো হয়েছে।

কিন্তু এত বড় সাফল্য কীভাবে পেলেন তিনি? তিনি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, স্বপ্ন সত্যি হল। এটা আমার আটবারের চেষ্টা ছিল। আমি ওবিসি ক্য়াটাগরির ছিলাম। আমি নবার এই পরীক্ষায় বসতে পারতাম। যদি এবার না পারতাম আবার চেষ্টা করতাম। আমি ২৮ মে আবার পরীক্ষায় বসব যাতে স্থানটা আরও একটু উন্নত করতে পারি।

মারাত্মক মনের জোর রামভজনের। তিনি বলেন, আমি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে প্রস্তুতি নিতাম। যদি এবার হয় তবে ভালো। আর না হলে আরও পরিশ্রম করব। কিন্তু এই যে বার বার ব্যর্থ হয়েছেন। আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। এটা কীভাবে সম্ভব হল? তিনি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, আমার স্ত্রী সবসময় পাশে ছিলেন। তিনি আমার শক্তির উৎস।

তিনি বলেন, আমার হারানোর কিছু ছিল না। রাজস্থানের গ্রাম থেকে আমি এসেছি। আমার বাবা ছিলেন দিনমজুর। আমি দেখেছি আমাকে পড়াশোনা করানোর জন্য় তিনি কী পরিমাণ পরিশ্রম করেছেন। সেকারণে আর পেছনে ফিরে তাকাইনি। সর্বোচ্চ পরিশ্রম করেছি।

২০১৯ সালে তিনি কনস্টেবল হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, সবসময় চেষ্টা করতাম আরও ভালো জায়গায় যাব। বৃহত্তর প্লাটফর্ম থেকে মানুষের সেবা করতে চাই। তিনি বলেন, মাঝেমধ্যে মনে হত ব্যর্থ হলে সন্তানদের তৈরি করব। তবে আমার স্ত্রী সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ফিরোজ আলম নামে এক কনস্টেবল ছিলেন। যিনি ইউপিএসসি দিয়ে এসিপি হয়েছিলেন। তিনিও আমার অনুপ্রেরণা ছিলেন। তিনি বলেন, আলম স্যার সফল হওয়ার পরে তিনি আমাদের বার বার উৎসাহ দিতেন।এটা খুব সহায়তা করেছে। সবসময় চাইতাম থানার কাছে থাকতে যাতে কাজ সেরেই পড়তে বসতে পারি। প্রস্তুতির জন্য একমাস ছুটি চেয়েছিলেন। রোজ ১৬ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতেন তিনি।