বিজেপির গড় উত্তরবঙ্গের জেলায় ধরল ভাঙল, একাধিক পরিবার যোগ দিলেন তৃণমূলে

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এবার বিজেপির গড়ে ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে এবং বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের জেলায় ভাল ফল করেছিল বিজেপি। এমনকী উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলে ছিলেন বহু বিজেপি নেতা। আর এখন সেখানেই দেখা দিল দলবদলের হিড়িক। এই দলবদল এবার ঘটল উত্তরবঙ্গের জেলায়। সেখানে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে গেল ১৬টি পরিবার। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই ১৬টি পরিবারের ভোট থেকে বঞ্চিত হবে বিজেপি বলে মনে করা হচ্ছে।

ঠিক কী ঘটেছে সেখানে?‌ জলপাইগুড়ি বিজেপি নেতারা নিজেদের গড় বলে থাকেন। অথচ সেখানেই দেখা দিল ভাঙন। জলপাইগুড়ির ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ১৫/১২৩ নম্বর বুথে এমনই যোগদান ঘটে। এখানেই সরাসরি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে পরিবারগুলি। বিজেপি ছেড়ে আসা পরিবারদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে দেন দলের ধূপগুড়ি ব্লক গ্রামীণ ব্লক সভাপতি দীপু রায়। এই যোগদানে উপস্থিত ছিলেন যুব সভাপতি–সহ অন্যান্য নেতারা। এই যোগদান আরও বাড়বে বলে আশা করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ কয়েকদিন আগেই ধুপগুড়ি ব্লকের একাধিক জায়গায় কয়েকটি পরিবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিল। তার কয়েকদিনের মধ্যেই এবার বিজেপি ছেড়ে দেওয়ার হিড়িক পড়ল। তবে ওই পরিবারগুলি এখানে আছে কিনা সেটা জানা যায়নি। যদিও বিজেপির বহু পরিবার আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। বিজেপি অবশ্য এই যোগদান অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ওরা আসলে নিজেদের কর্মীদেরকেই আবার দলে যোগদান করিয়ে প্রচার করল। আর তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি প্রমাণ দিয়ে কথা বলা ভাল।

ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস?‌ এই বিজেপি পরিবারগুলি আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিল। গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রামীণ ব্লক সভাপতি দীপু রায় বলেন, ‘‌এখানে মাগুরবাড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের দখলেই ছিল। এবার বিজেপিতে যে কজন ছিল তাঁরাও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। বিজেপি দলীয় পতাকা নিয়ে আন্দোলন করার লোক থাকবে না। মুখ্যমন্ত্রীর নানা উন্নয়ন দেখেই তাঁরা যোগ দিলেন। যে পরিমাণ কাজ রাজ্যে হচ্ছে তা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। মানুষ তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে চাইছেন।’‌