Allahabad High Court: দাম্পত্যে দীর্ঘ সময় সঙ্গীকে সঙ্গম থেকে বিরত রাখা মানসিক নির্মতা, পর্যবেক্ষণ কোর্টের

বিবাহিত জীবনে যদি সঙ্গীকে যৌন সঙ্গম থেকে বহুকাল ধূরে রাখেন অপরজন, আর সেখানে যদি যুক্তিযুক্ত কারণ দর্শাতে না পারেন, তাহলে তা মানসিক নির্মমতা বলে গণ্য হবে। এদিন এই পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বক্তব্যে। ফলে., বিবাহিত জীবনে কারণ ছাড়াই সঙ্গীকে বহুকাল যৌনসঙ্গম থেকে দূরে কেউ রাখলে, সেই ব্যক্তিত্ব মানসিক নির্যাতন করছেন তাঁর সঙ্গীকে বলে বিবেচিত হবেন।

উল্লেখ্য, মানসিক নির্মমার ইস্যুতে এক দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে। কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলছে, ‘নিঃসন্দেহে কোনও কারণ ছাড়াই বিবাহিত জীবনে একজন সঙ্গীকে যৌন সঙ্গম করতে বাধা দেওয়া, মানসিক নির্মমতার শামিল ওই সঙ্গীর প্রতি। ’ কোর্ট বলছে, ওই মামলায় এমন কোনও দৃষ্টিভঙ্গি উঠে আসছে না, যেখানে সঙ্গীর সঙ্গে ওই ব্যক্তিত্ব পুনরায় জীবন শুরু করতে বাধ্য হয়ে কিছু পেতে পারে, তাই এই বন্ধনকে টেনে নিয়ে যাওয়ার কোনও যুক্তিই নেই। এই মামলা দায়ের করেছিলেন এক স্বামী। যিনি এর আগে ডিভোর্সের এই মামলাটি হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় নিম্ন আদালতে দায়ের করছিলেন। সেখানে ডিভোর্সের আবেদন খারিজ হয়। পরে তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর তাঁর প্রতি তাঁর স্ত্রীর মানসিকতাই পাল্টে যায়। অভিযোগ, মহিলা তাঁর স্বামীর থেকে দূরে দূরে থাকতে শুরু করেন। স্বামীর অভিযোগ, বিয়ের ৬ মাস পর থেকেই নিজের বাবা মায়ের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন স্ত্রী। যা ঘিরে দুজনের মধ্যে সংঘাত হয়। এরপর তাঁকে বাড়ি আনতে চাইলেও তিনি আসেননি। এদিকে, ১৯৯৪ সালে এক গ্রাম্য পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ওই দম্পতির ডিভোর্স হয়। এরপর স্থায়ীভাবে ২২ হাজার টাকা স্ত্রীকে ভরণপোষণের জন্য বিধি অনুযায়ী দিতে থাকেন স্বামী। পরে ওই স্ত্রী ফের বিয়ে করেন। এরপর কোর্টে মানসিক নির্যাতনের দাবিতে মামলা দায়ের করেন ওই ব্যক্তি।

( নয়া সংসদভবনের উদ্বোধন ঘিরে মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টে, আর্জিতে কী জানানো হল?)

 নিম্ন আদালত ব্যক্তির দাব খারিজ করে। সেখানে বলা হয়, বিবাহ বিচ্ছেদের মানসিক নির্মমতার ক্ষেত্র প্রযোজ্য নয়। এদিকে, কোর্টে এই মামলায় তাঁর বিচ্ছিন্না স্ত্রী উপস্থিত হতেন না। উল্লেখ্য, রবীন্দ্র প্রতাপ যাদব ও আশা দেবীর এই ডিভোর্সের মামলায় শেষমেশ এলাহাবাদ হাইকোর্ট ডিভোর্স স্বীকৃত করে।

 এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup