Gambian Death due to Indian Medicine: ভারতে তৈরি কাশির সিরাপেই মৃত্যু গাম্বিয়ার ৬৬ শিশুর, দাবি আন্তর্জাতিক রিপোর্টে

হরিয়ানার মেডেন ফার্মার তৈরি করা চারটি কাশির ওষুধ খেয়ে নাকি গাম্বিয়াতে ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। গতবছর এই অভিযোগই করা হয়েছিল। এই ঘটনার তদন্তের স্বার্থে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে তথ্য চেয়েছিল ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। সরকারের তরফে বিশেষ কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হয়। সেই তদন্তের প্রেক্ষিতে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়, ‘এই কাফ সিরাপেই যে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে, এর পর্যাপ্ত প্রমাণ মেলেনি’। পরে সরকারের তরফে এই কাফ সিরাপগুলিকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার সংবাদ সংস্থা একটি রিপোর্টে দাবি করল, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় ওষুধের জেরেই কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয় গাম্বিয়ার সেই শিশুদের। আর তার জেরেই মৃত্যু হয় তাদের।

ব্লুমবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সেই রিপোর্ট তারা দেখেছে। এই বছরের শুরুর দিকে গাম্বিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রককে এই রিপোর্টটি পেশ করা হয়েছিল। তবে সেদেশের সরকার এই রিপোর্টটি প্রকাশ করেনি। এদিকে ভারতের সরকারি দাবির থেকে এই আন্তর্জাতিক রিপোর্টের বিয়বস্তু এবং দাবি পুরোপুরি আলাদা। ভারত দাবি করেছে, হরিয়ানায় তৈরি ওষুধের কারণে মৃত্যু হয়নি সেই শিশুদের। এই নিয়ে গাম্বিয়ার সরকার ও স্বাস্থ্য আধিকারিকরা মুখ খোলেননি। এদিকে গতবছর গাম্বিয়ার এই ঘটনায় ভারতের নাম খারাপ হয়েছিল আন্তর্জাতিক মঞ্চে। জেনেরিক ওষুধের ক্ষেত্রে ভারতকে বর্তমানে ‘বিশ্বের ফার্মেসি’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়। তবে ভারতে তৈরি এই ওষুধের ওপর প্রশ্নচিহ্ন ওঠায় অস্বস্তিতে পড়ে ভারত। উল্লেখ্য, মধ্য এশিয়া, আফ্রিকা সহ বহু জায়গায় জেনেরিক ওষুধ রফতানি করে ভারত। সেই সব ওষুধের অধিকাংশই অবশ্য ভারতের বাজারে বিক্রি করা হয় না।

উল্লেখ্য, হরিয়ানার মেডেন ফার্মার তৈরি প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মাকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড নামক কাশির সিরাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে গতবছর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ওষুধগুলির পরীক্ষিত নমুনায় মিলেছে ডাইইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল। এই দুই পদার্থ শরীরে প্রবেশ করলে পেটব্যথা, বমি, মূত্রত্যাগের সমস্যা ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশ্যে আসার পরই গতবছরের ১, ৩, ৬ এবং ৭ অক্টোবর হরিয়ানার সেই ওষুধ প্রস্তুতকারর সংস্থায় হানা দেন সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন আধিকারিকরা। তাঁরা ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। এই ওষুধগুলি নিয়ে তদন্ত করা হয়। তবে সরকারি ভাবে ভারতের তরফে দাবি করা হয়, হরিয়ানায় তৈরি হওয়া এই কাশির ওষুধের জেরে কারও মৃত্যু হয়নি।