Vodafone ₹2000 Crore Fine Case in HC: দিল্লি হাই কোর্টে খারিজ আবেদন, ২০০০ কোটি জরিমানা দিতে হতে পারে ভোডাফোনকে

২০১৬ সালে ভোডাফোন এবং আইডিয়াকে পৃথক ভাবে ভাবে ১০৫০ কোটি এবং ৯৫০ কোটি টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল টেলিকম অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। সেই জরিমানা খারিজ করার আবেদন জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ভোডাফোন। তবে তাদের সেই আবেদন খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে জিও-কে ‘ইন্টারকানেক্ট পয়েন্ট’ দিতে চায়নি ভোডাফোন, আইডিয়া এবং ভারতীয় এটারটেল। এই আবহে এই সংস্থাগুলিকে সার্কেল প্রতি ৫০ কোটি টাকা করে জরিমানা ধার্য করে ‘ট্রাই’। পরে ২০১৮ সালে ভোডাফোন এবং আইডিয়া এক হয়ে যায়। এখন সম্মিলিত ভাবে ভোডাফোনকে সেই জরিমানার ২০০০ কোটি টাকা মেটাতে হবে। তবে জরিমানা খারিজ করার আবেদন জানিয়ে তারা দ্বারস্থ হয়েছিল উচ্চ আদালতে তবে সেখানে স্বস্তি পেল না টেলিকম সংস্থাটি।

এর আগে ২০১৬ সালে ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোনকে ২১টি সার্কেল পিছু ৫০ কোটি টাকা করে ১০৫০ কোটি টাকা এবং আইডিয়াকে ১৯টি সার্কেলের জন্য ৯৫০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে বলেছিল ‘ট্রাই’। ভারতের টেলিকম নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বলে যে রিলায়েন্স জিও-কে পর্যাপ্ত সংযোগের পয়েন্ট না দিয়ে লাইসেন্সিং নিয়ম লঙ্ঘন করেছে টেলিকম অপারেটররা। প্রতিযোগিতা ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ করেছিল এই সংস্থাগুলি। এই আবহে ভোডাফোন, আইডিয়া, ভারতী এয়ারটেলের সেই পদক্ষেপকে ভোক্তা-বিরোধী বলে আখ্যা দেয় ‘ট্রাই’। নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বলে যে জিও-কে পর্যাপ্ত সংযোগের পয়েন্ট না দেওয়ার ফল তাদের নেটওয়ার্কে গ্রাহকদের বিপুল সংখ্যক কল ড্রপ হয়েছিল।

এরপরে ২০১৬ সালে ভোডাফোন দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ‘ট্রাই’-এর জরিমানার বিরুদ্ধে। ভোডাফোনের দাবি ছিল, ন্যায়বিচারের নীতির বিরুদ্ধে ট্রাই-এর পদক্ষেপ। ট্রাই ভোডাফোনের থেকে কোনও জবাবদিহি না চেয়ে একতরফা ভাবে এই জরিমানা ধার্য করেছিল। এরপর এই মামলা দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে চলে। গত ২৪ এপ্রিল মামলার রায়দান স্থগিত রাখেন দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ। আজকে ভোডাফোনের আবেদন খারিজ করে দেয় তাঁর বেঞ্চ। এর জেরে জোর ধাক্কা খেল লোকসানে চলা টেলিকম সংস্থাটি।