শিশুদের স্বাস্থ্য বিকাশ কেমন হচ্ছে?‌ ব্লক ত্রিস্তরে স্টিয়ারিং কমিটি গড়ল স্বাস্থ্য দফতর

আগামী প্রজন্মকে সুস্বাস্থ্যে গড়ে তুলতে হবে। এই নীতি নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে শিশুদের স্বাস্থ্যের কি প্রকৃত বিকাশ হচ্ছে?‌ এই প্রশ্ন নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। তাই আইসিডিএস থেকে বিদ্যালয়ের শিশু পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে শিশু স্বাস্থ্য বিকাশে সরকারি কর্মসূচি রূপায়ণে নজরদারির জন্য রাজ্য থেকে ব্লক ত্রিস্তরে স্টিয়ারিং কমিটি গড়ল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

কারা এই কমিটিতে থাকবেন?‌ একদিকে মুখ্যসচিব থাকবেন। অন্যদিকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ও শিশুকল্যাণ সচিব এবং স্বাস্থ্য–নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের অধিকর্তাদের রাখা হয়েছে এই কমিটিতে। এমনকী ন্যাশনাল হেল্থ মিশনের অধিকর্তাকে এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। প্রত্যেকটি জেলাতে সেখানকার জেলাশাসক এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কমিটিতে সিএমওএইচ জেলার স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নারী কল্যাণ দফতরের ভারপ্রাপ্ত এডিএমরা যুক্ত থাকবেন। ব্লকে বিডিও’‌র নেতৃত্বে কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে।

কী কাজ করবে এই কমিটি?‌ শিশুদের পুষ্টি এবং বিকাশ নিয়ে সরকারি কর্মসূচি আছে। এখানে শিশু কন্যাদের রক্তাল্পতা আছে কিনা, শরীরে ভিটামিনের অভাব আছে কিনা সেটা সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হবে। যদি থাকে তাহলে তা দূর করার জন্য বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি রয়েছে। যার মাধ্যমে আয়রন টাবলেট, ভিটামিন দেওয়া হয় এবং আরও দেওয়া হবে। বিদ্যালয়গুলিতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। একইসঙ্গে ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও চালু স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। মিড–ডে মিলের গুণগত মানের উপর সরকারি নজরদারি বেড়েছে। অঙ্গনওয়াড়ির শিশুরাও সেই সুযোগ পাচ্ছে। এতকিছুর পরেও সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ গ্রামাঞ্চলে বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই এই কমিটি গড়ে শিশু পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পদক্ষেপ করা হবে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়মিত হয়। বিডিও’‌র পাশাপাশি এখানে রাখা হচ্ছে বিএমওএইচ, স্কুল ইন্সপেক্টর, সিডিপিওদের। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে এখন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেটা সমস্ত জেলাশাসকদের পাঠানো হয়েছে। এমনকী দ্রুত এই নির্দেশিকাকে কার্যকর করতে বলা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে শিশুদের স্বাস্থ্য বিকাশে কোনও ঘাটতি না রাখতেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। মিড ডে মিলের দিকে বাড়তি নজর রাখবে এই কমিটির কর্তারা।