আয়করের মূল্যায়ন সংক্রান্ত মামলায় সনিয়া, রাহুল, প্রিয়াঙ্কার বড় ধাক্কা! পিটিশন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী, পুত্র রাহুল ও কন্যা প্রিয়াঙ্কা আয়কর মূল্যায়ন ইস্যুতে দিল্লি হাইকোর্টের কাছে একটি আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন এদিন খারিজ হল। উল্লেখ্য, গান্ধী পরিবারের এই তিন সদস্যের আয়কর মূল্যায়ন সেন্ট্রাল সার্কেলে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আয়কর বিভাগ। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেসের এই তিন নেতা নেত্রী। সেই আবেদন এদিন খারিজ করে দিল কোর্ট।

 সাধারণ মূল্যায়নের জায়গায় রাহুল, প্রিয়াঙ্কা, সনিয়ার আয়কর মূল্যায়ন হবে সেন্ট্রাল সার্কেলে। অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারির সঙ্গে জড়িত এক মামলায় আয়কর বিভাগ গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যকে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ করে এমন দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সনিয়ারা। একই ইস্যুতে সঞ্জয় গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, জওহর ভবন ট্রাস্ট, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন, রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, ইয়ং ইন্ডিয়ান ও আদমি পার্টিও একটি আবেদন করেছিল। সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে কোর্ট। ২০১৮-১৯ সালে গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যের আয়কর বিষয়ে মূল্যায়ন সাধারণ পর্যায়ের মূল্যায়ণ থেকে সরিয়ে সেন্ট্রাল সার্কেলে করা হচ্ছে। এই সেন্ট্রাল সার্কেলে খতিয়ে দেখা হয় যে কত কর ফাঁকি হয়েছে, বা আদৌ কর ফাঁকি হয়েছে কি না। আয়কর বিভাগের তদন্তকারী দল এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে।

গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যের দাবি তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগ নেই কোনও সংযোগ নেই অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারির। সঞ্জয় ভান্ডারি গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। উল্লেখ্য, ভারতে আর্থিক তছরুপের দায়ে ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় রয়েছেন সঞ্জয় ভান্ডারি। অভিযোগ রয়েছে, এই অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগ রয়েছে প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরার। আর সেই যোগাযোগের সূত্র হল লন্ডনের একটি ফ্ল্যাট। যদিও বঢরা সেই যোগ অস্বীকার করেছেন।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup