দ্রুতগতিতে ছুটে আসছিল মোটরবাইক, বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মেরে মৃত তিন বনগাঁয়

ঝড়বৃষ্টি তখন শুরু হয়েছে। তাই জোরে বৃষ্টি নামার আগে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন তিনজন। তাই মোটরবাইকের গতি বাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। ঝড়ের গতিতে চলছিল মোটরবাইক। কিন্তু মাঝপথে মোটরবাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গেল। তারপর সোজা গিয়ে ধাক্কা মারল মোটরবাইক বিদ্যুতের খুঁটিতে। ব্যস, মর্মান্তিক পরিণতি ঘটল। মোটরবাইক থেকে ছিটকে পরে মাথা থেঁতলে যায় একজনের। বাকি দু’‌জন রক্তাক্ত হয়ে পড়েন। আর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের।

ঠিক কী ঘটেছে বনগাঁয়?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, মর্মান্তিক মোটরবাইক দুর্ঘটনায় এক নাবালিকা–সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তীব্র গতিতে মোটরবাইক চড়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে। তার জেরে এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। আর বাকি দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। জামাইষষ্ঠীর রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর কলমবাগান বেয়ারা রোডের কুন্দিপুরে। এই তিনজন একটি মোটরবাইকেই করে তীব্র গতিতে বেয়াড়া থেকে কলমবাগান রোড ধরে কলমবাগানের দিকে আসছিলেন।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম রুপসা বিশ্বাস (১৬)‌। তাঁর বাড়ি বাগদা থানার বলিদাপুকুরে। সঞ্জিত দাস (২৩), বাড়ি বাগদা থানার দুর্গপুর এবং রাজেশ মণ্ডল(২২), বাড়ি বনগাঁ থানার কুন্দিপুর এলাকায়। ওই তিনজন বেয়াড়া থেকে কলমবাগান রোড ধরে তীব্র গতিতে কলমবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁদের কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। মোটরবাইক ছুটছিল দুরন্ত গতিতে। উল্টোদিক থেকে আসা একটি গাড়িকে পাশ কাটিয়ে সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারেন রাস্তার পাশে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিতে। বিকট জোরে শব্দ হতেই স্থানীয়রা ছুটে আসেন। ততক্ষণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দু’‌জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই তিনজনের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারতেই তিনজনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। একজনের মাথা গিয়ে পড়ে পাথরের উপর গিয়ে। তাঁর মাথা থেঁতলে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। রক্তাক্ত, সংকটজনক অবস্থায় বাকি দু’জনকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনাত তদন্তে নেমেছে। আর ময়নাতদন্তের পর দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।