Abhishek Banerjee: ‘লেজ গুটিয়ে পালাব?… গামছা পেঁচিয়ে মারল,’ কুড়মিদের পেছনে কারা? মমতাকে ফোন অভিষেকের

অভিষেকের কনভয় চলে যেতেই গড়শালবনিতে একের পর এক গাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হল। চূড়ান্ত উত্তেজনা। কুড়মি ক্ষোভ আছড়ে পড়ল অভিষেকের কনভয়ের কাছে। এনিয়ে লোধাশুলিতে মুখ খুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

অভিষেক বলেন, বাইকে করে যে তৃণমূল কর্মীরা আসছিলেন তাদের গামছা টেনে মারা হয়েছে। ইঁট ছুঁড়ে কাঁচ ভেঙে দিয়েছে। আপনারা যে দাবিটা নিয়ে লড়াই করছেন, আন্দোলনের নামে গুণ্ডামি হয় না। আমি রাস্তায় নামলেই সব পালিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে ইঁট ছুঁড়ে মারছেন। আন্দোলন গান্ধীজির কাছে শিখেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আপনারা অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছেন। করুন না শান্তিপূর্ণ পথে। গাড়ির উপর হামলা করে স্মারকলিপি দিতে চান। আমরা হিংসার ঘটনাকে সমর্থন করি না।

অভিষেক বলেন, আমি তো রাস্তায় রয়েছি। আমি লোধাশুলির সামনে দেখা করতে নামলাম। দাবি তো একটাই, দশটা করে গ্রুপ কেন? আপনি কথা বলুন। কে বারণ করেছে। ইট পাটকেল ছুঁড়ে জহ্লাদের উল্লাস, এর পেছেন কোন রাজনীতির লোকজন আছে তা জানি। জয়শ্রীরামের স্লোগান কেন ?

আমি যদি যাই তবে পালিয়ে যাচ্ছেন কেন? এত ভয় কীসের? ভাবছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেজ গুটিয়ে পালাবে? প্রশ্ন অভিষেকের।

তিনি বলেন, আমাদের যা পথ অবলম্বন করার করব। আমি আন্দোলনকে সম্মান করি। আপনাদের পতাকা হাতে নিয়ে যদি বিজেপির লোকজন কুড়মিদের নাম করে তৃণমূলকে মারে তবে সেটা আপনারা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলুন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিবৃতি না জানান তবে বুঝতে হবে আদিবাসী কুড়মি সমাজ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কত ক্ষমতা আছে বিজেপির নেতা কর্মীদের, দেখব। যারা এর পেছনে রয়েছে একজনকেও রেয়াত করা হবে না।… রোজ দুশোটা, পাঁচশোটা করে খাম নিচ্ছি। রাস্তায় একটা খাম দিয়ে দিন।… আমার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আপনারা উত্তেজিত হবে না। আমি তো গাড়ি থেকে নেমে গেলাম। আমি দুপা এগোচ্ছি আর ওরা পিছিয়ে যাচ্ছে। এত ভয় কীসের! ইঁট ছুঁড়ছেন, বোতল ছুঁড়েছেন।

এদিকে এই ঘটনার কিছুটা পরে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন অভিষেক। অনেকটা পথ হেঁটে যান। ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রীকেও। তিনি বলেন, পুরো ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে জানানো হয়েছে। উনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পুলিশ প্রশাসনকে পুরো ঘটনার তদন্ত করে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি।