Bratya Basu: ‘রাজ্য আলোচনা চাইলেও রাজ্যপাল এগোতে চান একা’, শো-কজ চিঠি প্রসঙ্গে ব্রাত্য

উপাচার্যদের কাছে সাপ্তাহিক রিপোর্ট চেয়েছিলেন রাজ্য। বার দু’য়েক চিঠি দিয়ে তার উত্তর না আসায় উপাচার্যদের কারণ দর্শাতে বলে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য। সেই চিঠি নিয়ে এবার মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, এই চিঠি আইনি না বেআইনি তা খতিয়ে দেখতে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। 

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখী হয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,’আমরা রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছি। কিন্তু তিনি সবটাই একক ভাবে করছেন।’ একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, রাজ্য সরকার যদি রাজভবনকে না জানিয়ে উপাচার্য নিয়োগ করত তাহলে কী হত। রাজ্যের অধীনে থাকা যে সব বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যরা রাজ্যপালকে সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাননি তাদের শোকজ চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় সেই রিপোর্ট পাঠিয়েছে তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

(পড়তে পারেন। বেলাগাম অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া, নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ নেবে স্বাস্থ্য কমিশন)

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাজভবন থেকে শো-কজ চিঠি যায় বর্ধমান-সহ রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে। সাপ্তাহিক রিপোর্ট না পাঠানোর জন্য কারণ দর্শাতে বলা হয় উপাচার্যদের। সাপ্তাহিক রিপোর্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মের খতিয়ান চাওয়ার পাশাপাশি, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যপালের অনুমোদন নেওয়ার কথা বলা হয়। চিঠিতে রাজ্যপালের ই-মেল ফোন নম্বর দিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করতে বলা হয়েছিল। একেই শিক্ষামন্ত্রী ‘একক উদ্যোগ’ বলে মনে করছেন। তবে শিক্ষামন্ত্রীর শুক্রবারের কথা থেকে স্পষ্ট এই মুহূর্তে রাজ্য সরকার সরাসরি কোনও সংঘাতে রাস্তায় যেত চায় না। বরং খোলা রাখতে চায় আলোচনার রাস্তা। (পড়তে পারেন। ব্যক্তিগতভাবে চিনিই না অভিষেককে…ছবি কী করে এল? জবাব দিলেন কুন্তল: Report)