অবশেষে ব্যারাকপুর শুটআউট–খুনে গ্রেফতার একজন, পুলিশের জালে অভিযুক্ত

টানা দু’‌দিন পর অবশেষে ব্যারাকপুর শুটআউট ও হত্যাকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার করল পুলিশ। আগেই দু’‌জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের জেরা করা হয়। তারপর ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তে নেমে পড়ে পুলিশ। সেই সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে হাওড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় এই অভিযুক্তকে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তবে এই গ্রেফতারের পর সেই প্রশ্ন থেকে অনেকটা নিজেদের মুক্ত করল পুলিশ বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে পুলিশের জালে যে ধরা পড়েছে সেই অভিযুক্তের নাম সানি। হাওড়া থেকে মাঝরাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ বলে খবর। এই অভিযুক্তকে নিয়ে আসা হয়েছে টিটাগড় থানায়। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বাকি তিনজন অভিযুক্তের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ব্যারাকপুর শ্যুটআউট কাণ্ডের দু’‌দিন পর গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে বলে দাবি করেন পুরসভা চেয়ারম্যান। ধৃত দুষ্কৃতীর নাম সানি। তার বাড়ি কামারহাটিতে।

অন্যদিকে সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের তিন দুষ্কৃতীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই সানির। সোনার দোকান রেইকি করে গিয়েছিল সানি। সেই রেইকির উপর ভিত্তি করেই হামলা চালানো হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয় দুটি মোটরবাইক। হাওড়া ব্রিজ থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে ডানলপের দিকে গিয়েছিল দুটি মোটরবাইক। সেই দুটি মোটরবাইকে দু’‌জন ছিল। এই সূত্র ধরেই এগিয়ে যায় পুলিশ। হাওড়া দিয়ে পালানোর ছক ছিল অভিযুক্তের। কিন্তু সঠিক তথ্য হাতে এসে যাওয়ায় ধরা পড়ে যায় সানি। আর তাকে জেরা করে বাকিদের নাগাল পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।

ঠিক কী ঘটেছিল ব্যারাকপুরে?‌ ভরসন্ধ্যায় জনবহুল ব্যারাকপুরে ডাকাতিতে বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় সোনার দোকান মালিকের পুত্রের। ডাকাতদের গুলিতে গুরুতর জখম হয়ে স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি হন দোকান মালিক নীলরতন সিং এবং দোকানের নিরাপত্তা কর্মী শঙ্কর। সোনার দোকানে ডাকাতদের হানা এবং গুলিতে মৃত এবং আহত হওয়ার এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে যান ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলক রাজোরিয়া–সহ পদস্থ কর্তারা। ঘটনাস্থল ও এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখে ডাকাতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ডাকাতদের গুলিতে মৃত দোকান মালিকের পুত্রের নাম নীলাদ্রি সিং (২৬)। মাত্র ছয় মাস আগে বিয়ে হয়েছিল নীলাদ্রির। জামাইষষ্ঠীর আগেই সব শেষ।