‘‌কিছু পুলিশ অফিসার আছে, যারা ঘুষ খায়…‌’‌, অর্জুনের পর বিস্ফোরক সাংসদ সৌগত

ব্যারাকপুরের শুটআউট এবং খুনের ঘটনায় পুলিশ দু’‌জনকে গ্রেফতার করলেও রাজনৈতির তরজা অব্যাহত। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেই চলেছে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং আগেই পুলিশের ভূমিকা এবং দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। এমনকী পুলিশ ঘুষ খায় বলে সিলমোহর দিয়ে দিলেন তিনি। ফলে মানুষের ভরসা ও নিরাপত্তার জায়গায় একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। এই বিষয়ে সৌগত রায় মন্তব্য করেন, পুলিশের একাংশ ঘুষ নেয়, কাজ করে না। আসলে ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে যে খুনের ঘটনা ঘটেছে তাতে এমন দাবিই করলেন তিনি। এমনকী পুলিশ কাজ না করলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানাবেন বলেও দাবি করেছেন। অর্জুন সিংয়ের দাবি ছিল, পুলিশের উপর রাজনৈতিক প্রভাব থাকে। ৪০ কেজি ভুঁড়ি নিয়ে চলতে পারে না দুষ্কৃতী কি ধরবে!‌ তার মধ্যেই সামনে এল সৌগত রায়ের বিস্ফোরক মন্তব্য। তবে সৌগত রায়ের আরও দাবি, পুলিশ খারাপ নয়। অনেকেই ভাল কাজ করেন।

এদিকে গত বুধবার ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে মালিকের ছেলের। তার প্রতিবাদেই আজ, শনিবার স্বর্ণব্যবসায়ীরা ব্যারাকপুর বনধ ডেকেছেন। ওই ঘটনার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন সাংসদরা। তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। অর্জুন–সৌগতর মন্তব্যের সুযোগ নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘উনি স্বীকার করে নিচ্ছেন পুলিশ ঘুষ খাচ্ছে। অর্জুন সিং মানতে বাধ্য হচ্ছেন পুলিশ এবং গুন্ডাদের যোগসাজশ রয়েছে। ওঁরা এত বড় নেতা, পুরনো লোক, ওঁরা কেন সামলাতে পারছেন না? নাকি পুলিশের কন্ট্রোলে আর কিছু নেই?’‌

ঠিক কী বলেছেন সৌগত রায়?‌ শুক্রবার কামারহাটিতে এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌগত রায়। সেখানে তিনি বলেন, ‘‌ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে আইনের পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়েছে। তিন বছর আগে মনীশ শুক্লা খুন হয়েছিলেন। সোনার দোকানে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় পুলিশ দু’‌জনকে গ্রেফতার করেছে। আমি মনে করি পুলিশ ভাল কাজ করার চেষ্টা করছে। কিছু পুলিশ অফিসার আছে, যারা ঘুষ খায়, কাজ করে না। তবে সবাই খারাপ নয়। পুলিশ যদি কোনও ভুল করে তাহলে আমাকে জানান। থানার আইসি কাজ না করলে আমাকে জানান। আমি কমিশনারকে বলব। কমিশনার যদি কাজ না করে আমাকে জানান, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলব।’‌