‘মা’ উড়ালপুলে উল্টে গেল গাড়ি, ব্রেক ফেল করে ডিভাইডারে মারল সজোরে ধাক্কা

আবার রাতের কলকাতায় পথ দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থল সেই ‘মা ফ্লাইওভার’। যেখান দিয়ে রোজ হাজার হাজার গাড়ি যাতায়াত করে। এখানে আগেও পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে তার পর থেকে ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে আবার এমন পথ দুর্ঘটনা জোর আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। শুক্রবার রাতে আবার ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল মা উড়ালপুলে। এদিন ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে গেল গাড়ি। তখন গাড়ির চালক–সহ মোট পাঁচজন ভিতরে ছিলেন। তবে গুরুতর আঘাত লাগেনি। শুক্রবার রাত ১১টার পর এই দুর্ঘটনা ঘটে। উড়ালপুলের মাঝখানে এভাবে গাড়ি উল্টে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ এই পথ দুর্ঘটনার পর কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। অকুস্থলে উপস্থিত হয় কলকাতা পুলিশ। এই গাড়িটি পার্ক সার্কাসের দিক থেকে সায়েন্স সিটির দিকে যাচ্ছিল। তপসিয়ার কাছে ব্রেক ফেল করে যায়। তখনই ডিভাইডারের ধাক্কা মারে এবং গাড়ি উল্টে যায়। পুলিশ প্রত্যেক যাত্রীকে উদ্ধার করে। গাড়ির গতিবেগ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ গাড়ির চালকের দাবি, গাড়ির গতিবেগ কম ছিল। কিন্তু পুলিশের অনুমান গতিবেগ বেশি না থাকলে নিয়ন্ত্রণ হারায় কি করে!‌

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মা উড়ালপুলের উপর একটি গাড়ি উল্টে যায়। গাড়িটি পার্ক সার্কাস থেকে সায়েন্স সিটির দিকে যাচ্ছিল। গাড়িতে চালক–সহ মোট পাঁচজন যাত্রী ছিলেন। গাড়িটি উড়ালপুলের ডিভাইডারে ধাক্কা মেরেই উল্টে যায়। তার জেরে মা উড়ালপুলে সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হয়। এদিকে চালকের দাবি, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। গাড়ির গতি খুব বেশি ছিল না। দুর্ঘটনার জেরে উড়ালপুলের একদিকের রাস্তা প্রায় ৩০ মিনিট বন্ধ ছিল। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের অফিসাররা গাড়িটি দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যায়। তখন সচল হয় রাস্তা। পথ দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ উড়ালপুলে উলটে যাওয়া গাড়ি ক্রেন নিয়ে এসে সোজা করে সেখান থেকে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়। এই উ়ডালপুলে যাতে কোনও পথ দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য অনেক সতর্কতা নেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। কিন্তু যাত্রী সচেতনতা বাড়েনি। তাই বারবার এমন পথ দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও উল্টে যায় এখানে একটি গাড়ি। এক মহিলা গাড়ি নিয়ে সায়েন্স সিটি থেকে পার্ক সার্কাসের দিকে যাওয়ার সময় একইভাবে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। আর তার জেরে উলটে যায় গাড়ি।